ক্যাচ মিসের মহড়া বিশ্বকাপ থেকেই নিয়মিত দিয়ে আসছে বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপের ৮ ম্যাচে ক্যাচ পড়েছে অন্তত ১২-১৩টি। দেশে ফিরে এই সিরিজের প্রস্তুতিপর্বে ফিল্ডিংয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয় অনেক। প্রতিদিনই অনুশীলনে অনেকটা সময় বরাদ্দ রাখা হয় গ্রাউন্ড ফিল্ডিং ও ক্যাচিংয়ে। বিদায় করে দেওয়া হয় তুমুল সমালোচিত ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুককে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে সেসবের ইতিবাচক প্রভাব কিছুটা দেখা যায়। দল সেদিন বেশ ভালো ফিল্ডিং করে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে আবার ফিরে আসে সেই চেনা ভূত। আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বলে ফখর জামানের সহজ ক্যাচ ছাড়েন সাইফ হাসান। পরে আমিনুলের বলেই রিজওয়ানের সহজতম ক্যাচ নিতে পারেননি তাসকিন আহমেদ।
ওই দুটি ক্যাচ নিতে পারলেও বাংলাদেশ হয়তো জিততে পারত না এ দিন। তবে প্রতিপক্ষের কাজ কিছুটা কঠিন করে তুলতে পারত। কিছুটা আত্মবিশ্বাসও মিলত।
কেন বারবার একই ভুল, কেন প্রায় প্রতি ম্যাচেই পড়ছে ক্যাচ, এটির উত্তর জানা নেই মাহমুদউল্লাহর। দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে অধিনায়কের কণ্ঠে ফুটে উঠল অসহায়ত্বের সুর।
“আমি জানি না…ছেলেরা অনুশীলনে অনেক কাজ করছে, নিয়মিত অনেক ক্যাচ নিচ্ছে। অনুশীলনে সম্ভব সব কিছুই করছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ম্যাচে আমরা সুযোগ হাতছাড়া করছি।”