ওমান ‘এ’ দলের বিপক্ষে আনঅফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে শুক্রবার ৬০ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। অপেশাদার ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আনকোরা একটি দলের বিপক্ষে এমন জয় খুবই প্রত্যাশিত। তবে বড় স্বস্তি ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স।
প্রতিপক্ষের বোলিং যদিও দুর্বল, তার পরও ২০ ওভারে ২০৭ রান করা মানে যথেষ্টই ভালো হাত সাফাই করে নেওয়া। মাহমুদউল্লাহর পিঠের অস্বস্তির কারণে এই ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া লিটন দাস খেলেন ৩৩ বলে ৫৩ রানের ইনিংস। খুব ঝড়ো ব্যাটিং করতে না পারলেও রানের দেখা পান মোহাম্মদ নাঈম শেখ (৫৩ বলে ৬৬)।
সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম কাজে লাগাতে পারেননি প্রস্তুতির সুযোগ। তবে ৭ ছক্কায় ১৫ বলে ৪৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দেন নুরুল হাসান সোহান। শামীম হোসেন অপরাজিত থাকেন ১০ বলে ২১ করে। শেষ ৫ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৮১ রান!
ম্যাচ শেষে বিসিবির ভিডিও বার্তায় শামীম হোসেন শোনালেন বিশ্বকাপেও ভালো করার আশাবাদ।
“আমরা একটা নতুন কন্ডিশনে এসেছি। আমরা এখানে যত ম্যাচ খেলতে পারব, ততই দলের জন্য ভালো। যেহেতু রাতের ম্যাচ ছিল, এটিও আমাদের জন্য ভালো ছিল। আমাদের ব্যাটসম্যানরা সবাই অনেক ভালো ব্যাট করেছে। উইকেট অনেক ভালো ছিল। আমাদের ব্যাটসম্যানরা অনেক স্বস্তিতে ছিল। আমি আশাবাদী আমাদের ব্যাটসম্যানরা এই পিচে বিশ্বকাপে অনেক ভালো করবে।”
যে মাঠে এই প্রস্তুতি ম্যাচ ছিল, সেই ওমান ক্রিকেট একাডেমি মাঠেই আগামী ১৭ অক্টোবর শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান। তবে এর আগে অফিসিয়াল দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ দল যাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আগের সূচি অনুযায়ী, শনিবারই ওমান ছাড়ার কথা ছিল মাহমুদউল্লাহদের। তবে সেই সূচিতে পরিবর্তন এসেছে। ওমান-শ্রীলঙ্কার সিরিজ শেষে এই দুই দলের সঙ্গে একই চার্টার্ড ফ্লাইটে রোববার আমিরাতে যাবে বাংলাদেশ দলও।
ওমানে প্রথম ধাপের প্রস্তুতি পর্ব ছিল বিসিবির ব্যবস্থাপনায়। আমিরাত যাত্রা থেকেই আইসিসির জৈব-সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ দল।
আবু ধাবিতে আগামী মঙ্গলবার প্রথম অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, বৃহস্পতিবারের ম্যাচে প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড।