একতার শক্তিতে এবার নিউ জিল্যান্ডকে হারানোর লক্ষ্য

অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বাংলাদেশ দলের আবহ সঙ্গীত ছিল ‘দলীয় ঐক্য।’ ম্যাচ জেতানোর মতো ক্রিকেটার টি-টোয়েন্টিতে যেহেতু খুব বেশি নেই দলের, তাই সম্মিলিত অবদানে জয়ের ঠিকানায় পৌঁছানোর প্রয়াস। সেই একই পথ ধরে এগোলে সাফল্য মিলবে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে, বিশ্বাস বাংলাদেশের কিপার-ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহানের।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 August 2021, 12:48 PM
Updated : 27 August 2021, 12:48 PM

তিন দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে শুক্রবার শুরু হয় নিউ জিল্যান্ড সিরিজের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি পর্ব। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলনের শুরুতে ছিল আলাদা করে আলোচনা পর্ব। পেসারদের নিয়ে আলাদা করে কথা বলেন পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন, স্পিনারদের সঙ্গে স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ ও ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে আলোচনা করেন ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স ও প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। এরপর ঘণ্টা তিনেক ঘাম ঝরায় দল।

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ১০টি টি-টোয়েন্টি খেলে কখনও জয়ের স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ। তবে সেই ধারা বদলানোর প্রেরণা খুঁজতে খুব দূর যেতে হবে না। সবশেষ সিরিজের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও এই সংস্করণে কোনো জয় ছিল না বাংলাদেশের। কিন্তু এবার সিরিজ জয় ধরা দিয়েছে ৪-১ ব্যবধানে।

সেই সাফল্যে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের মন্থর ও টার্নিং উইকেটের বড় ভুমিকা তো ছিলই, সঙ্গে ছিল দল হিসেবে খেলতে পারার শক্তিও। নিউ জিল্যান্ড সিরিজেও চাওয়া থাকবে একই, প্রথম দিনের অনুশীলনে বিসিবির ভিডিও বার্তায় বললেন সোহান।

“অবশ্যই নিউজিল্যান্ড ভালো দল। আমার মনে হয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটা সিরিজ হবে। দল হিসেবে যদি আমরা খেলতে পারি, তাহলে আমাদের ভালো ফলার করার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।”

“সবশেষ দুটি সিরিজ আমরা দল হিসেবে খেলতে পেরেছি। চ্যালেঞ্জিং বা প্রতিযোগিতা বলতে, বাংলাদেশ দলের ড্রেসিং রুমে খুব ভালো একটা পরিবেশ রয়েছে। আমরা ১৫ জন বা ২০ জন যারাই আছে, সবাই মন থেকে চায় যেন মাঠের ১১ জন ভালো করে। সবাই সবাইকে সাহায্য ও সহযোগিতা করে, যেটা দল হিসেবে ভালো করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে ব্যাটিং প্রতিকূল উইকেটে ব্যাটসম্যানদের কাজটা ছিল কঠিন। বাংলাদেশের বোলাররা তাই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বড় অবদান রাখেন দলের জয়ে। সামনের সিরিজেও বোলারদের একই ভূমিকায় দেখতে চান সোহান।

“বোলিং ইউনিট হিসেবে আমরা ভালো করেছি। মোস্তাফিজ তো অসাধারণ ছিল। আমার কাছে মনে হয়, সাকিব ভাই, শরিফুল, সবাই খুবই ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। মেহেদিও খুব ভালো বোলিং করেছে। সত্যি কথা বলতে, আমরা সবাই দল হিসেবে খেলতে পেরেছি, এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটা যদি চালিয়ে যেতে পারি, তাহলে ইনশাল্লাহ ভালো কিছু করব আমরা।”

দলের পাশাপাশি নিজের পারফরম্যান্স নিয়েও লক্ষ্যটা জানিয়ে দিলেন সোহান। বরাবরই তিনি দলের প্রতি নিবেদিত। তাই তার ব্যক্তিগত চাওয়াতে মিশে থাকল দলের চাওয়া পূরণই।

“আমি ৫০-১০০ করলেও যদি দল হারে, এটার থেকে আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দলের জয়ে অবদান রাখা। ৫ রান হোক বা ১০ রান, দলের যেটা উপকার হয়। যেখান থেকে বা যেখানেই সুযোগ পাই না কেন, আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, দলের প্রয়োজনে যতটুকু করতে পারি।”

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের এই টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু বুধবার থেকে। সব ম্যাচ মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে।