তিন দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে শুক্রবার শুরু হয় নিউ জিল্যান্ড সিরিজের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি পর্ব। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলনের শুরুতে ছিল আলাদা করে আলোচনা পর্ব। পেসারদের নিয়ে আলাদা করে কথা বলেন পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন, স্পিনারদের সঙ্গে স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ ও ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে আলোচনা করেন ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স ও প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। এরপর ঘণ্টা তিনেক ঘাম ঝরায় দল।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ১০টি টি-টোয়েন্টি খেলে কখনও জয়ের স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ। তবে সেই ধারা বদলানোর প্রেরণা খুঁজতে খুব দূর যেতে হবে না। সবশেষ সিরিজের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও এই সংস্করণে কোনো জয় ছিল না বাংলাদেশের। কিন্তু এবার সিরিজ জয় ধরা দিয়েছে ৪-১ ব্যবধানে।
“অবশ্যই নিউজিল্যান্ড ভালো দল। আমার মনে হয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটা সিরিজ হবে। দল হিসেবে যদি আমরা খেলতে পারি, তাহলে আমাদের ভালো ফলার করার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।”
“সবশেষ দুটি সিরিজ আমরা দল হিসেবে খেলতে পেরেছি। চ্যালেঞ্জিং বা প্রতিযোগিতা বলতে, বাংলাদেশ দলের ড্রেসিং রুমে খুব ভালো একটা পরিবেশ রয়েছে। আমরা ১৫ জন বা ২০ জন যারাই আছে, সবাই মন থেকে চায় যেন মাঠের ১১ জন ভালো করে। সবাই সবাইকে সাহায্য ও সহযোগিতা করে, যেটা দল হিসেবে ভালো করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে ব্যাটিং প্রতিকূল উইকেটে ব্যাটসম্যানদের কাজটা ছিল কঠিন। বাংলাদেশের বোলাররা তাই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বড় অবদান রাখেন দলের জয়ে। সামনের সিরিজেও বোলারদের একই ভূমিকায় দেখতে চান সোহান।
দলের পাশাপাশি নিজের পারফরম্যান্স নিয়েও লক্ষ্যটা জানিয়ে দিলেন সোহান। বরাবরই তিনি দলের প্রতি নিবেদিত। তাই তার ব্যক্তিগত চাওয়াতে মিশে থাকল দলের চাওয়া পূরণই।
“আমি ৫০-১০০ করলেও যদি দল হারে, এটার থেকে আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দলের জয়ে অবদান রাখা। ৫ রান হোক বা ১০ রান, দলের যেটা উপকার হয়। যেখান থেকে বা যেখানেই সুযোগ পাই না কেন, আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, দলের প্রয়োজনে যতটুকু করতে পারি।”
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের এই টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু বুধবার থেকে। সব ম্যাচ মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে।