সিরিজের আগের ম্যাচটিই তার জন্য ছিল দুঃসহ অভিজ্ঞতার। ব্যাট হাতে ২৬ বলে করতে পারেন কেবল ১৫ রান। পরে তার বোলিংয়ে এক ওভারে ৫ ছক্কায় ৩০ রান নেন ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ান। ৪ ওভারে তিনি রান দেন ৫০। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবার ফিফটি রান গোনার অভিজ্ঞতা হয় তার।
সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সময় নেননি তিনি একদমই। সোমবার শেষ ম্যাচে ব্যাটিংয়ে যদিও ছন্দ খুঁজে পাননি। তবে বল হাতে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মূল হন্তারক। স্রেফ ৯ রান দিয়ে তার শিকার ৪ উইকেট। বল হাতে বিধ্বস্ত হওয়ার পরের ম্যাচেই বোলিং দিয়ে ম্যান অব দা ম্যাচ!
পুরনো প্রশ্নটিও তাই উঠল আবার। সাকিব মনে করিয়ে দিলেন নিজের ধরন, কৃতিত্ব দিলেন তার পারিপার্শ্বিকতাকেও।
“অবশ্যই আমি মানুষ (হাসি)…(বাজে পারফরম্যান্সে) প্রভাবিত অনেকেই হয়, অনেকে হয় না। আমি হয়তো নিজেকে ওইভাবে তৈরি করে নিতে পেরেছি। আমার চারপাশটাই অমন যেখানে আমাকে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা (শঙ্কা) কম থাকে। সেদিক থেকে আমি অনেক ভাগ্যবান।”
এই ম্যাচে সাকিবের প্রাপ্তি শুধু এখানেই নয়। নাম লেখা হয়ে গেছে তার ইতিহাসেও। ম্যাচে চার উইকেটের দ্বিতীয়টি ছিল শততম টি-টোয়েন্টি উইকেট। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ উইকেট ও ১ হাজার রানের ‘ডাবল’ অর্জন করা প্রথম ক্রিকেটার তিনিই।
সাকিব তার এই সাফল্যের কৃতিত্ব দিলেন সতীর্থদের, সঙ্গে প্রত্যয় জানালেন এভাবেই দলে অবদান রেখে যাওয়ার।
“অবশ্যই ভালো লাগে এরকম কোনো অর্জন যখন হয়। ব্যক্তিগত অর্জনগুলো অবশ্যই অনুপ্রাণিত করে দলের হয়ে ভালো খেলার জন্য। তবে এ যাবৎকালে যতজন সতীর্থের সঙ্গে খেলেছি, তাদের সাপোর্ট না পেলে এটা কখনোই সম্ভবত হতো না। তাদের সাপোর্ট, কোচিং স্টাফ-দর্শক, সবার সাপোর্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”
“খুবই খুশি (আমি) এবং আমার মনে হয়, আমি আরও অনেক দিন অবদান রাখতে পারব। সেই চেষ্টাই থাকবে আমার।”
সিরিজে ১১৪ রান করে এবং ৭ উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরাও হয়েছেন সাকিবই।