রাসেল ডমিঙ্গো অবশ্য আগের দিনই বলে দিয়েছেন! বাংলাদেশ কোচ রোববার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই সিরিজে তার চাওয়া খুব ভালো উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে ‘ভালো’ বলতে মূলত ব্যাটিং উইকেটই বোঝানো হয়।
তবে মিরপুরে খুব ভালো ব্যাটিং উইকেটের দেখা মিলেছে কম সময়ই। এখানকার উইকেটে বল ব্যাটে আসে ধীরে। বাউন্স থাকে অসমান। শট খেলা কঠিন হয় অনেক সময়ই। টি-টোয়েন্টিতেও এখানে বেশির ভাগ সময় বড় রান দেখা যায় না।
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপে বড় নাম নেই তেমন কেউ। অভিজ্ঞতার ঘাটতি সেখানে স্পষ্ট। বিশেষ করে, এই ধরনের মন্থর উইকেটে খেলার মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান এই দলে তেমন কেউ নেই। মিরপুরের চেনা উইকেট থাকলে এই সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের ভোগার কথা যথেষ্টই।
মাহমুদউল্লাহ অবশ্য বললেন, উইকেট চ্যালেঞ্জিং হতে পারে দুই দলের জন্যই। তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো দ্রুত উইকেট পড়তে পারা।
“আমার খেলার অভিজ্ঞতা বলে, মিরপুরের উইকেট বেশির ভাগ সময়ই অনুমান করা খুব কঠিন। পাশাপাশি, দেখতে পাচ্ছেন, আকাশ মেঘলাও থাকছে। আমার মনে হয়, টস খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। উইকেট যে ধরনেরই হোক, স্পোর্টিং উইকেট হতে পারে, বোলিং সহায়কও হতে পারে। আমি নিশ্চিত নই। উইকেট পড়তে পারা খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। উইকেট যেমনই হোক, আমরা খেলতে প্রস্তুত।”
“অস্ট্রেলিয়ান উইকেট ও বাংলাদেশের উইকেটে আকাশ-পাতাল তফাত। ওখানকার উইকেট অনেক গতিময়, বাউন্স থাকে, বল সবসময় ব্যাটে আসে সুন্দরভাবে। বাংলাদেশে উইকেট বুঝে ওঠার পর সেভাবে খেলতে হয়। দুই দলের জন্যই চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। অনেক সময় আবার ফ্ল্যাট ট্র্যাকও পেতে পারি। ভালো ব্যাটিং উইকেট পেলে সেটাও কাজে লাগাতে হবে।”
এই সিরিজের ৫ ম্যাচ হবে ৭ দিনের মধ্যেই। এক উইকেটে একাধিক ম্যাচ হলে, সেই উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য কষ্টসাধ্য হওয়ার কথা। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য বললেন, সিরিজে কয়টি উইকেট ব্যবহার করা হবে, সেই ধারণা তার নেই।
সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড বললেন, তিনিও জানেন না কয়টি উইকেটে খেলা হবে এই সিরিজে।
“আমি শতভাগ নিশ্চিত নই কয়টাতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে দুই পিচে পাঁচ ম্যাচ হয়েছে। আমাদের ধারণা ছিল, পরের দিকে উইকেটের অবস্থা খারাপ হবে। কিন্তু বাস্তবে ততটা হয়নি। আশা করি, এখানেও সেরকম হবে।”