৫২০ রানে চোখ বাংলাদেশ কোচের

ম্যাচের দু্ই দিন শেষ, বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস এখনও শেষ হয়নি। উইকেট পড়েছে মোটে চারটি। দ্বিতীয় দিনে আলোকস্বল্পতায় খেলা আগেভাগেই শেষ হওয়ার আগে দ্রুত রান তোলার তাড়াও খুব একটা দেখা যায়নি। প্রশ্ন তাই উঠে যাচ্ছে, আরও কি লম্বা সময় ব্যাট করবে বাংলাদেশ? কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর উত্তর, ইনিংস ঘোষণার সময় খুব দূরে নয়।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2021, 02:37 PM
Updated : 22 April 2021, 05:25 PM

পাল্লেকেলে টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ৪৭৪ রান। আলোকস্বল্পতায় বৃহস্পতিবার ২৫ ওভার খেলা কম হয়েছে। মুশফিকুর রহিম ৪৩ ও লিটন দাস ২৫ রানে ব্যাট করছেন।  

সফরকারীদের আরেকটি ভালো দিন শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসেন ডমিঙ্গো। বাংলাদেশ কোচ জানান, বোলারদের যথেষ্ট সময় দিতে তৃতীয় দিন সকালে দ্রুত রান চান তিনি।      

“কত রানে ইনিংস ঘোষণা করতে চাই, এটা ঠিক করতে আজ রাতে আমরা আলোচনা করব। তবে কাল সকালে আমাদের দ্রুত কিছু রান লাগবে। যদি ৫২০ রানের আশেপাশে যেতে পারি, তাহলে আমরা শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেলার সুযোগ পাব।”  

দুই দিন মিলিয়ে বোলারদের প্রাপ্তি চার উইকেট। খুব বেশি সুযোগও তৈরি করতে পারেননি লঙ্কান বোলাররা। উইকেট মনে হচ্ছে ব্যাটিং স্বর্গ। সেখানে আগামী তিন দিনে স্বাগতিকদের ২০ উইকেট নেওয়ার বাস্তবিক সুযোগ কি আছে বাংলাদেশের? ডমিঙ্গো হাল ছাড়ার কারণ দেখছেন না। 

“এটা সেই উইকেট নয়, যেখানে ৪০-৫০ ওভারে প্রতিপক্ষকে গুটিয়ে দেওয়া যাবে। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে এবং চাপ বাড়াতে হবে। ধারাবাহিকভাবে ভালো জায়গায় বোলিং করে যেতে হবে এবং সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে। এটাই মূল কথা। টেস্টে ২০ উইকেট নেওয়া সহজ নয়। তাই ছেলেদের নিশ্চিত করতে হবে, আগামী কয়েকটি দিন ওরা যেন বোলিংয়ে সুশৃঙ্খল থাকে।”   

“উইকেট খুব ভালো মনে হচ্ছে। তবে এখানে খুবই গরম, ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য অফ স্টাম্পের বাইরে ক্ষত তৈরি হয়েছে। আশা করি স্পিনাররা এটা কাজে লাগাতে পারবে। প্রতিপক্ষের বড় স্কোরের পর ব্যাটিং করতে নামলে একটু ক্লান্তি থাকেই। স্কোর বোর্ডেরও একটা চাপ থাকে।”

উইকেটে এখনও বোলারদের জন্য নেই তেমন কোনো সহায়তা। শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং বেশ শক্তিশালী। তাদের বিপক্ষে তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, আবু জায়েদ চৌধুরিদের লড়াই দেখতে উন্মুখ বাংলাদেশ কোচ।

“শ্রীলঙ্কার উঁচু মানের কয়েকজন খেলোয়াড় আছে। তবে আমাদেরও খুব ভালো বোলিং আক্রমণ আছে। তিনজন ভিন্ন ধরনের পেসার আছে, একজন করে অফ ও বাঁহাতি স্পিনার আছে। বোলিং আক্রমণে বেশ বৈচিত্র আছে। কাল ছেলেদের মাঠে দেখতে আমি মুখিয়ে আছি। ওরা অনেক টেস্ট খেলে না, তাই কি করতে পারে সেটা দেখাতে ওরা অধীর হয়ে আছে।”

“আমরা জানি, আগামী কয়েক দিন আমাদের সামনে কঠিন কাজ অপেক্ষা করছে। সেজন্য আমরা তৈরি। ধৈর্য ধরতে হবে এবং ব্যাটিং সহায়ক পিচে উইকেট নেওয়ার পথ বের করতে হবে।”