পান্ডিয়াকে সন্তানের মতো দেখভাল করেছেন পন্টিং

হার্দিক পান্ডিয়ার ক্যারিয়ার নতুন দিকে বাঁক নিল ২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি; ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের অষ্টম সংস্করণে। অচেনা এই অলরাউন্ডারকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলে নিল ভিত্তিমূল্য মাত্র ১০লাখ রুপিতে। দলে এসে পেলেন রিকি পন্টিং, কাইরান পোলার্ডের মতো সতীর্থ। এ দুজনের যত্নে আর শেখার প্রতি দারুণ আগ্রহ থাকায় বেড়ে উঠতে থাকলেন পান্ডিয়া।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 June 2020, 11:28 AM
Updated : 3 June 2020, 12:46 PM

সেই সময়ের মুম্বাইয়ের অধিনায়ক পন্টিং সন্তানের মতো পাশে বসে শিখিয়েছেন ক্রিকেটের নানা দিক। আর পোলার্ড সবসময় ভাইয়ের মতো পাশে থেকেছেন। ক্রিকবাজে ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্ষা ভোগলের সঙ্গে অনলাইন আলাপচারিতায় চলার পথে পাশে পাওয়া এই দুইজনের অবদানের কথা স্মরণ করলেন পান্ডিয়া।
 
“রিকি পন্টিং এমন একজন ছিলেন যিনি আমাকে সবচেয়ে ভালোভাবে দেখভাল করেছেন। তিনি আমাকে সন্তানের মত আগলে রেখেছিলেন। আমি অনুভব করতাম তিনি আমার বাবার মতো।”
 
“রিকি আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছেন। পরিস্থিতি বুঝতে, কিভাবে মানসিক প্রস্তুতি নিতে হয়, আপনাকে কতটুকু দৃঢ় হওয়া দরকার… শিখিয়েছেন। ২০১৫ সালে দলের নতুন সদস্য হিসেবে আমি হোর্ডিংয়ের পাশের সিটে বসতাম। রিকি আমার সাথে বসতেন, ক্রিকেট নিয়ে কথা বলতেন। আমিও দ্রুত শিখতে শুরু করেছিলাম।”
 

ছবি: বিসিসিআই

তখন দলের আরেক সিনিয়র ক্রিকেটার ছিলেন পোলার্ড, প্রতিযোগিতার সফলতম দলটিতে এখনও তারা সতীর্থ। দুজনেই করেন পেস বোলিং, ব্যাটিংয়েও দুজনে মারকুটে। দুজনে মিলে গড়ে তুলেছেন দারুণ জুটি। দুজনের সেই সম্পর্ক মাঠ পেরিয়ে জায়গা করে নিয়েছে সামাজিক জীবনেও।
“আমাদের সম্পর্কটা দারুণ, পারিবারিকভাবেই আমরা যুক্ত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে সময়ের পার্থক্য থাকার পরও আমরা সব সময় কথা বলি; আমরা নিশ্চিত করি প্রতি মাসে অন্তত একবার কথা বলা। আমি তাকে অগ্রজ হিসেবে দেখি।”
পান্ডিয়া অবশ্য নির্দিষ্ট কাউকে নিজের আদর্শ হিসেবে মানেন না। সেরাদের বিভিন্ন ভালো দিকগুলো থেকে শিখে নিজের ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করতে চাওয়ার কথাও জানিয়েছেন ২৬ বছর বয়স এই তারকা। মহেন্দ্র সিং ধোনির ‘ধৈর্য’, বিরাট কোহলির ‘ক্ষুধা’-এগুলোও আছে তার শেখার তালিকায়।

আইপিএলে সুযোগ পাওয়ার পরের বছরই টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় পান্ডিয়ার। একই বছর ওয়ানডে এবং পরের বছর টেস্টেও হয়ে যায় অভিষেক। দ্রুতই হয়ে ওঠেন দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
 
পিঠের চোটের কারণে দীর্ঘদিন দলের বাইরে ছিলেন পান্ডিয়া। গত মার্চে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে দলে ফিরলেও খেলা হয়নি কোনো ম্যাচ। করোনাভাইরাসের কারণে কোনো ম্যাচ না খেলেই যে দেশে ফিরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।