পিঠের চোটের কারণে দীর্ঘসময়ের জন্য পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থাকতে হবে হাসানকে। পরিস্থিতি খারাপ হলে অস্ত্রোপচারওকরাতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে মাঠের বাইরে থাকার সময় বাড়বে আরও।
চোট নিয়ে ২৫ বছর বয়সীপেসারের ভোগান্তির শুরু গত বছর ঘরোয়া টুর্নামেন্টে। সাত সপ্তাহ ধরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতেপুনবার্সনে থাকতে হয়েছে তখন। সেই ধাক্কা কাটিয়ে মাঠে ফেরার পরপরই আবার পাঁজরের চোটেছিটকে গেছেন ছয় সপ্তাহের জন্য। এরপর এবছর পাকিস্তান সুপার লিগে ফিরলেও দেখা যায়নি তারবলের সেই ধার। ৯ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন ওভার প্রতি প্রায় ৯ রান করে দিয়ে।
করোনাভাইরাসের কারণেখেলা বন্ধ থাকার এই সময়টাতেও পিঠের ব্যথা অনুভব করছিলেন হাসান। স্ক্যান করিয়ে ধরা পড়েছেপিঠের সমস্যা। বোর্ড তাকে অস্ট্রেলিয়া পাঠাতে চাইলেও এখনকার বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে ভ্রমণেরউপায় নেই। আপাতত দেশেই চিকিৎসা চলছে তার।
সব মিলিয়ে হাসানের ক্যারিয়ারঘিরে এখন অনিশ্চয়তা। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের শিরোপা জয়ের নায়ক, এক সময়কারমূল স্ট্রাইক বোলার এখন জাতীয় দল থেকে অনেক দূরে।
পাকিস্তানের প্রধাননির্বাচক ও প্রধান কোচ মিসবাহ-উল-হক অবশ্য জানিয়েছেন, তারা পুরো সমর্থন দিয়ে যাবেনহাসানকে।
“ ওর প্রতি আমাদের সমবেদনাআছে। ওর ফেরার কোনো সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নেই, তবে ওকে মাঠে ফেরাতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।ও দারুণ ছেলে, খুবই পরিশ্রমী অ্যাথলেট ওবং দলের জন্য নিজেকে উজার করে দেয়। এজন্যই আমরাওর পাশে আছি এবং বোর্ড ওকে সম্ভব সবরকম সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।”
“ আগেও যখন চোট পেয়েছে,বোর্ড ওর যত্ন নিয়েছে। এখনও আমরা ওর পাশে আছি। ওর উপযুক্ত চিকিৎসা নিশ্চিত করব আমরা।পুনর্বাসন শেষে যত দ্রুত সম্ভব ওকে মাঠে ফেরাতে সব রকম ব্যবস্থাই নেওয়া হবে।”