ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়ার সঙ্গে তার ইউটিউব চ্যানেলে এক আলাপচারিতায় বর্তমান সময়ের ফাস্ট বোলিংয়ের নানা দিক নিয়ে কথা বলেন আকরাম।
“আজকাল অনেক ফাস্ট বোলারকে দেখি, সারাদিন দৌড়াচ্ছে, একই রান-আপ নিয়ে বল করছে, একই পেস, কোনো বৈচিত্র্য নেই। কোনো ব্যাটসম্যানকে যা ভাবাবে না। পরের বলে কী আসছে, এ নিয়ে সব সময় ব্যাটসম্যানকে ভাবনার মধ্যে রাখতে হবে একজন বোলারের। ছোটখাটো অনেক কিছু একজন বোলার করতে পারে, যা ব্যাটসম্যানকে সমস্যায় ফেলতে পারে।”
ওয়ানডে ক্রিকেটের সফলতম এই পেসার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে নিজে কিভাবে শিখেছেন, তা উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন।
“আমার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে খুব কম বাঁহাতি বোলারকেই দেখতাম রাউন্ড দা উইকেটে বল করতে। তরুণ বোলার হিসেবে আমি ভাবতাম, যদি আমি এদিক দিয়ে বল করি তাহলে ভিন্ন একটা অ্যাঙ্গেল তৈরি হবে, যা ব্যাটসম্যানের জন্য কঠিন হবে। এগুলো আমি নিজে থেকেই শিখেছিলাম।”
“নেটে আমি পুরনো বল বেছে নিতাম। রান-আপের সময় নিজেকে আম্পায়ারের আড়ালে রাখার মত ব্যাপারগুলো করার চেষ্টা করতাম। মূল বিষয় হলো ব্যাটসম্যানদের মনে দ্বিধা তৈরি করা, আর এটাই আমি করতে চাইতাম।”
টি-টোয়েন্টির সাফল্য দেখে বোলারদের মূল্যায়ন করার পক্ষে নন ৫৩ বছর বয়সী আকরাম। তার দৃষ্টিতে বোলারদের উন্নতির সবচেয়ে বড় জায়গা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট।
“বর্তমানে যে পরিমাণ ক্রিকেট হচ্ছে, তাতে সবকিছুই বদলে গেছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বোলার তৈরি করতে পারে না। আমাদের সময় জাতীয় দলের হয়ে খেলতাম ছয় মাস আর কাউন্টি দলে খেলতাম অন্য ছয় মাস। বোলিং শিখতে তরুণদের আরও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা দরকার।”
“টি-টোয়েন্টি বিস্ময়কর, ভালো বিনোদন; এখানে প্রচুর অর্থ জড়িত…তবে আমি টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বোলারদের বিচার করি না। তাদেরকে আমি মূল্যায়ন করি বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটের ভিত্তিতে।”