দেড় হাজার পরিবারের জন্য মাশরাফি পরিবারের খাদ্য সহায়তা

ক্রিকেটারদের সম্মিলিত উদ্যোগে অবদান রেখেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে জনপ্রতিনিধি হিসেবেও তো তার দায়িত্ব আছে! করোনাভাইরাসের প্রভাবে সৃষ্ট এই সঙ্কটের সময়ে মাশরাফি ও তার পরিবারের উদ্যোগে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে দেড় হাজারের বেশি পরিবারকে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 March 2020, 04:24 PM
Updated : 26 March 2020, 04:46 PM

নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফির এই সহায়তা পাচ্ছেন তার নির্বাচনী এলাকা নড়াইল সদর ও লোহাগড়া উপজেলার দুস্থরা। তার ব্যক্তিগত অর্থ ও পরিবারের অন্যদের মিলিয়ে তহবিল গঠন করে দেওয়া হচ্ছে এই সাহায্য।

নড়াইলে মাশরাফিদের প্রথম দফার সহায়তা পাচ্ছেন মূলত চা বিক্রেতা, রিকশা-ভ্যান চালক ও হকাররা। তালিকা করে তিনশর বেশি পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে ৯ কেজির একটি করে প্যাকেট, যেখানে থাকছে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি করে ডাল, তেল, পেঁয়াজ ও আলু।

নড়াইলে এই সহায়তা কার্যক্রম তদারকি করছেন মাশরাফির মামা নাহিদুল ইসলাম। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানালেন বিস্তারিত।

“দেশজুড়ে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেওয়ার পর চা বিক্রেতা, হকার, ভ্যান চালক, এই শ্রেণি সম্ভবত বিপদে পড়েছে সবচেয়ে বেশি। আমরা তাই প্রথমেই তাদেরকে সহায়তা করছি। মাশরাফির নিজের অর্থ, ওর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নানা হাশমত উল্লাহর সহায়তা ও আমাদের পরিবারের কজন মিলিয়ে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। প্যাকেট করা হয়ে গেছে। আজকে (বৃহস্পতিবার) রাত থেকেই বন্টন করা হবে আশা করি।”

মাশরাফির ব্যক্তিগত অর্থে আরও বড় পরিসরে সহায়তার প্রক্রিয়াও চলছে। নড়াইল ও লোহাগড়ায় ১ হাজার ২০০ দুস্থ পরিবারকে দেওয়া হবে এই সহায়তা। সেখানে প্রতি পরিবারের জন্য ১০ কেজি চালের পাশাপাশি থাকবে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ ও সাবান। মাশরাফির মামা জানালেন, অর্ডার দেওয়া চালের চালান চলে এলে আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে এসব বন্টনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

সংসদ সদস্য হওয়ার পর মাশরাফির উদ্যোগে নড়াইল ও লোহাগড়ার প্রতিটি ইউনিয়নে ১০০ জন তরুণকে নিয়ে সামাজিক সেবার দল গঠন করা হয়েছে। সেখান থেকে বাছাই করা স্বেচ্ছাসেবীরা পর্যাপ্ত সুরক্ষা নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্যাকেট দিয়ে আসবেন বলে জানালেন মাশরাফির মামা।

এছাড়াও নড়াইলের চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য মাশরাফির ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৫০০টি ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ (পিপিই) দেওয়া হচ্ছে। শনিবার সেই চালান হাতে পাওয়ার কথা তাদের।

নড়াইলের পুলিশ সুপারের তত্বাবধানে একটি ‘কিউআর টিম’ (কুইক রেসপন্স টিম) গঠন করে দিয়েছেন মাশরাফি, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে তারা তাৎক্ষনিক সাড়া দেবে।

শুধু নড়াইলেই নয়, মাশরাফির স্ত্রী সুমনা হকের উদ্যোগে তাদের ঢাকার বাসার আশেপাশে আরও প্রায় ২০০ জনকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। মিরপুর-পল্লবীতে রিকশা-ভ্যান চালক, চা বিক্রেতাদের দেওয়া হবে এই সাহায্য।