সেই ক্ষুধা নিয়েই মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সিলেটে ম্যাচ শুরু দুপুর ১টায়।
প্রথম ওয়ানডেতে ১৬৯ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে যা সবচেয়ে বড় জয়। দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করাটাও খুব প্রত্যাশিত।
যদিও প্রতিপক্ষের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেই যাচ্ছে। এই সিরিজের পারফরম্যান্সের মূল্য কতটুকু? সোমবার দলের অনুশীলনের আগে ম্যাকেঞ্জি মনে করিয়ে দিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাস্তবতা আর নিজেদের করণীয়।
“ক্ষুধার্ত থাকতে হবে আমাদের। দেশের হয়ে খেলছি, সেই বোধটা থাকতে হবে। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে হোক বা অস্ট্রেলিয়া, এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এই ছেলেরা বাংলাদেশের জন্য ভালো করতে মুখিয়ে আছে।”
“সামনে যে প্রতিপক্ষ আসবে, সবার সঙ্গেই একই মানসিকতায় খেলতে হবে। কাউকে হালকা ভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। এই ধরনের মানসিকতা আমরা বাংলাদেশ দলে চাই না। অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হই বা দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে বা আফগানিস্তান, ছেলেরা খেলবে বাংলাদেশের হয়ে। প্রতিনিধিত্ব করছে এই দেশের কোটি কোটি মানুষের।”
সেই ২০১০ সালের পর বাংলাদেশে ওয়ানডে জেতেনি জিম্বাবুয়ে। এবারও সিরিজের শুরুটা হয়েছে বাজে। দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে অবশ্য কিছুটা স্বস্তির খবর আছে তাদের জন্য। শন উইলিয়ামস দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। অসুস্থতা কাটিয়ে ফিট হয়ে ওঠার পথে ক্রেইগ আরভিন। দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ফিরলে দলের শক্তি বেড়ে যাবে অনেকটাই।
উইলিয়ামস নিজেও সেই তাগিদ অনুভব করছেন। পাশাপাশি দায়িত্বের ক্ষেত্রে দলের আরও দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের কথাও উল্লেখ করলেন।
“সিরিজে পিছিয়ে থাকার পর ফিরে আসা কঠিন। গতকালে ম্যাচ সব দিক থেকেই ছিল হতাশার। তবে আমাদের সামনে তাকাতে হবে। কালকের ম্যাচের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে পরিকল্পনা। আশা করি আমি দলে শক্তির উৎস হতে পারব ও স্থিরতা এনে দিতে পারব। ক্রেইগ আরভিনও সুস্থ হয়ে উঠছে, খেলার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠবে।”
“ব্রেন্ডন টেইলর ও সিকান্দার রাজার বড় ভূমিকা আছে দলে। ওদের জ্বলে ওঠাও আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”
তারা সত্যিই জ্বলে উঠলে ম্যাচেও থাকতে পারে উত্তাপ। নইলে বাংলাদেশের সিরিজ জয় আটকানো কঠিন।