প্লেয়ার্স ড্রাফটে দল না পাওয়া মেহেদি রানা এখনও পর্যন্ত এবারের বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। ড্রাফটের পর মাহমুদউল্লাহর পরামর্শে তাকে দলে নিয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ৮ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে এই পেসার চট্টগ্রামকে শেষ চারে তুলে নিয়েছেন টুর্নামেন্টে সবার আগে। ম্যাচ সেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন তিন ম্যাচে।
সিলেটে শনিবার খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মেহেদি রানা। নিজের প্রথম ওভারেই দারুণ দুটি ডেলিভারিতে বিদায় করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও হাশিম আমলাকে।
আমলার মতো ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করতে পারা যে কোনো তরুণ বোলারকে দারুণ তৃপ্তি দেওয়ার কথা। তবে ম্যাচ শেষে মেহেদি রানা জানালেন, ব্যাটসম্যানের নাম নিয়ে তিনি ভাবেন না।
“কোনো ব্যাটসম্যান যখন উইকেটে নামে, আমি তখন চিন্তা করি না যে আমলা নাকি কে ওটা। এসব ভাবিই না। আমি শুধু ভাবি যে আমার নিজের বোলিং করে যেতে হবে। এভাবে বোলিং করেই সফল হয়েছি।”
আগের দিন রাতের ম্যাচে ২ উইকেট নিয়ে মুস্তাফিজুর রহমান উঠে গিয়েছিলেন শীর্ষে। মেহেদি রানা পরের সুযোগেই আবার নিজেকে তুলে নিয়েছেন সবার ওপরে। তবে উইকেট সংখ্যা নিয়েও ভাবনা নেই তার।
“উইকেট আমি গুনছি না। একেকটা ম্যাচ ধরে এগোচ্ছি। প্রতিটি ম্যাচে ভালো করব কিভাবে, সেটি ভাবছি। (মুস্তাফিজ টপকে গেলেন কিনা) সেটা মাথায় আনিনি। ম্যাচ থেকে ম্যাচে উন্নতি করছি। ভালো করছি। সামনেও ভালো করার আশা করছি।”