ডেনলি ও স্টোকসের আগে ফিফটি করেছেন ররি বার্নস। সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার তিন ফিফটিতে ইংল্যান্ড করেছে ৪ তুলেছে ২৪১ রান।
সিরিজ শুরুর আগে ডেনলি বলেছিলেন, প্রথম সেঞ্চুরিটি এবার নিউ জিল্যান্ডে পেতে চান। সেই সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন। কিন্তু আউট হয়ে গেছেন ৭৪ রানে। ইংল্যান্ডের বড় আশা হয়ে ৬৭ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন স্টোকস।
কিউই পেসাররা বোলিং করেছেন দারুণ। তবে অভিষিক্ত ডমিনিক সিবলিকে নিয়ে সাবধানী ব্যাটিংয়ে ৫২ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন বার্নস।
সিবলির অভিষেক ইনিংস ২২ রানে থামিয়েছেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। প্রথম সেশনে ২৯ ওভারে ইংল্যান্ড তোলে ১ উইকেটে ৬১।
লাঞ্চের পর ডেনলির সঙ্গে জুটিতে দলকে এগিয়ে নন বার্নস। ৬১ রানের এই জুটিও ভেঙেছেন ডি গ্র্যান্ডহোম। ১৩৮ বল খেলে ৫২ রানে বিদায় নেন বার্নস।
কিউইরা এরপর পায় বড় এক উপহার। নিল ওয়েগনারের বলের আলগা শটে ২ রানেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইংলিশ অধিনায়ক রুট। ১২০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন খানিকটা চাপে ইংল্যান্ড।
সেখান থেকেই দিনের সবচেয়ে বড় জুটিতে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে নেন ডেনলি ও স্টোকস। চতুর্থ উইকেটে দুজন যোগ করেন ৮৩ রান।
দ্বিতীয় নতুন বলে এই জুটি ভাঙেন টিম সাউদি। ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি ছুঁয়ে ডেনলি আউট হন ৭৪ রানে। ১৮১ বলের ইনিংস শেষ হয় উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে।
তবে ওই চার বাউন্ডারির শেষটিতেই সুযোগ দিয়েছিলেন স্টোকস। স্লিপে এমনিতে নির্ভরযোগ্য হলেও রস টেইলর নিতে পারেননি এই ক্যাচ। এরপর সতর্ক ব্যাটিংয়ে দিনের বাকি ১৫ বল খেলে আর কোনো রান করেননি স্টোকস। ইংল্যান্ড দিন শেষ করে স্বস্তিতে।
নিউ জিল্যান্ড দিন জুড়ে নির্ভর করেছে পেসারদের ওপরই। স্পিনার মিচেল স্যান্টনার হাত ঘুরিয়েছেন কেবল ৫ ওভার। মূল বোলারদের ছাপিয়ে দিনের সফলতম বোলার অলরাউন্ডার ডি গ্র্যান্ডহোম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২৪১/৪ (বার্নস ৫২, সিবলি ২২, ডেনলি ৭৪, রুট ২, স্টোকস ৬৭, পোপ ১৮; বোল্ট ২২-৬-৬১-০, সাউদি ২১-৬-৪৬-১, ডি গ্র্যান্ডহোম ১৯-৫-২৮-২, ওয়েগনার ২৩-৪-৭৭-১, স্যান্টনার ৫-০-২৪-০)