নতুন অধ্যায়ের শুরুতে রোমাঞ্চিত মুমিনুল

দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়ে বেশ উপভোগ করছেন মুমিনুল হক। কোনোরকম চাপ নয়, বরং দেশকে আরও বেশি দেওয়ার তাগিদ অনুভব করছেন তিনি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকইন্দোর থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Nov 2019, 12:09 PM
Updated : 13 Nov 2019, 03:09 PM

বৃহস্পতিবার ইন্দোরে হলকার স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে শুরু হবে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট। এই ম্যাচ দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়শিপে অভিষেক হবে দলের। দেশের নতুন অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হবে মুমিনুলের। দেশের ক্রিকেটে ও নিজের ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায় শুরুর দুয়ারে দাঁড়িয়ে রোমাঞ্চিত বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।

“এটা আমার জন্য অনেক রোমাঞ্চকর। খুব বড় একটা সুযোগ। এই সুযোগ হয়তো সবাই পায় না। সুযোগটা আমি খুব ভালোভাবে কাজে লাগাতে চাই।”

মাত্র এক সংস্করণে দেশের হয়ে খেলেন বলে এমনিতেই মুমিনুলের ওপর বেশ চাপ থাকে। নেতৃত্বর ভার কি তার কাঁধে চাপাচ্ছে বাড়তি বোঝা?

“যখন নেতৃত্ব পেয়েছি তখন থেকে চাপের এই ব্যাপারটা কখনও অনুভব করিনি। অধিনায়কত্ব পাওয়ার আগে যেভাবে একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছিলাম এখনও সেভাবে ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলব। নেতৃত্বে থাকায় আপনার ক্রিকেট নিয়ে জ্ঞানটা একটু বাড়ে, দায়িত্বও বাড়ে। আমার মনে হয়, এখন আমার পারফরম্যান্সের উন্নতি হবে, ব্যাটিং আরেকটু ভালো হবে।”

টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর। তাদের উপস্থিতি মুমিনুলের কাজটা সহজ করে দিয়েছে।

“এটা আমার জন্য ভালো ব্যাপার যে, যাদের কথা বললেন তারা সবসময় আমাকে সহায়তা করে আসছেন। সিনিয়র দুই জনের সাহায্য পাওয়াটা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।”

নেতৃত্বের দর্শন নিয়ে এখনই কথা বলতে চান না মুমিনুল। সতীর্থদের উজ্জ্বীবিত রাখার কাজটা সারছেন অল্প কথায়।

“দলের সবাই অনুপ্রাণিত। তারা সবাই পরিণত। ওদের যতটুকু বলা দরকার ততটুকু বললেই যথেষ্ট। খুব বেশি কথা বলিনি, যতটুকু বলা প্রয়োজন ততটুকুই বলেছি।”

“এই মুহূর্তে আমি বলতে পারছি না। এটা নির্ভর করবে পরিস্থিতির ওপরে। কোন পরিস্থিতিতে আমি কোন সিদ্ধান্ত নিব সেটা তখনই বলা যাবে। রক্ষণাত্মক হয়েও আক্রমণ করা যায় আবার আক্রমণাত্মক হয়েও রক্ষণ করা যায়।”