তারকা ব্যাটসম্যানরা কিভাবে নেটে নিজেকে পরের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত করেন, এ নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের কমতি নেই। উঠতি ক্রিকেটাররা শিখতে চান সময়ের সেরা ক্রিকেটারদের নেট দেখে। বয়স ভিত্তিক দলে থাকার সময় এই ভাবনা ছিল কোহলির মনেও। কিন্তু সে সময় মেলেনি সুযোগ।
“আমাদের সময় নেটে আসার, দেখার এতোটা সুযোগ ছিল না। সেই সময়ে এমনকি রঞ্জি ট্রফির খেলোয়াড়দের কাছে যেতে পারাও, তাদের নেট দেখতে পারা ছিল বড় ব্যাপার। অনূর্ধ্ব-১৪, অনূর্ধ্ব-১৫ দলে খেলার সময় আমরা পেছন দিয়ে গিয়ে কোটলা মাঠে অনুশীলন করতাম। আমরা যদি সে সময় দেখার সুযোগ পেতাম আমাদের জন্য খুব ভালো হতো।”
নিজের সেই আক্ষেপ থেকে বুঝতে পারেন, এতো কাছ থেকে একজনের ব্যাটিং দেখাটা উঠতি ক্রিকেটাদের মনে কতটা রোমাঞ্চ ছড়ায়।
“এখনকার দিনে নেট দেখতে পারার যে ব্যাপারটা, এটা আমার কাছে অসাধারণ মনে হয়। এতো কাছ থেকে কারো ব্যাটিং দেখা, তার মুভমেন্ট দেখা, তার ভারসাম্য দেখা দারুণ ব্যাপার।”
“মানুষজন পেছন থেকে দাঁড়িয়ে দেখে এটা খুব ভালো ব্যাপার। যারা ভিডিও বানিয়ে চিৎকার করে, তাদের বলতে হয়, ‘ভাই আমাদের খেলতে দাও।’ যে ক্রিকেট দেখতে চায়, শিখতে চায় তাদের দেখে ভালো লাগে। তারা কখনও কখনও নেটের পর জিজ্ঞেস করে, কি ভাবছিলাম, নেটে কিভাবে অ্যাপ্রোচ করি।”
নেটে ব্যাটিং সব সময় উপভোগ করেন কোহলি। নেট স্রেফ স্কিল অনুশীলনের ব্যাপার নয়। এখানে থাকে অনেক রোমাঞ্চ, উত্তেজনা। খানিকটা ধারণা দিলেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান।
“নেটে যখন রোমাঞ্চকর কোনো বোলার আসে, তাকে খেলতে ভালো লাগে। কারণ, সে আউট করার জন্য পুরো চেষ্টাটাই করে…ভালো ভালো বোলারও আসে। যারা নিজের স্কিলকে খুব ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারে। আমার এটা ভালো লাগে।”
“আন্তর্জাতিক কোনো বোলারকে যখন আপনি নেটে তিন-চার শট মেরে দেন তখন ভালো একটা অনুভূতি হয়। আবার যখন আউট করে তখন মুখের সামনে এসে সেটা উদযাপনও করে! সেই সময়ে মনে হয়, এটা বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। নতুন নতুন স্থানীয় বোলারের সঙ্গে দেখা হয়, আমার বেশ মজা লাগে।”