দুই লেগ স্পিনারের দুই রকম দিন

আগের রাউন্ডে এই দুই লেগ স্পিনারকে নিয়ে দেশের ক্রিকেটে পড়ে গিয়েছিল তুমুল শোরগোল। এই রাউন্ডে তাই দৃষ্টি ছিল দুজনের দিকেই। দুজনের জন্য একই রকম পরীক্ষাও। সেই পরীক্ষার প্রথম দিনে সফল রিশাদ হোসেন। জুবায়ের হোসেনের দিন ছিল ভালো-মন্দ মিশিয়ে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Oct 2019, 11:20 AM
Updated : 26 Oct 2019, 01:45 PM

জাতীয় লিগের ম্যাচে কক্সবাজারে পাশাপাশি মাঠে দুই দলের হয়ে খেলছেন দুই লেগ স্পিনার। রংপুর বিভাগের হয়ে রাজশাহীর বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়েছেন দীর্ঘদেহী লেগ স্পিনার রিশাদ। পাশের মাঠে ঢাকা বিভাগের হয়ে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে জুবায়ের ছিলেন খরুচে। তবে দিনের শেষ ভাগে একটি উইকেট তিনি নিতে পেরেছেন।

বিসিবি থেকে নিদের্শনা থাকার পরও আগের রাউন্ডে এই দুই লেগ স্পিনারকে একাদশে না রাখায় বরখাস্ত করা হয়েছিল ঢাকা ও রংপুর বিভাগীয় দলের কোচকে।

১৭ বছর বয়সী রিশাদের এটি তৃতীয় প্রথম শ্রেণির ম্যাচ, জাতীয় লিগে অভিষেক। ২০১৮ সালে বিসিএলের ম্যাচ দিয়ে পা রেখেছিলেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। বড় দৈর্ঘের ক্রিকেটে আরেকটি ম্যাচ খেলতে এরপর অপেক্ষা করতে হয়েছে আরও প্রায় বছর খানেক। এই মাসের শুরুতে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে খেলেছেন আনঅফিসিয়াল টেস্টে। এই দুই ম্যাচে উইকেট ছিল মাত্র ৩টি।

এই সময়টায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে বেশ কিছু ম্যাচ খেলে খুব ভালো করতে পারেননি। কয়েকটি সিরিজে যুব দলের মূল স্কোয়াডেও পাননি জায়গা। সব মিলিয়ে তাকে নিয়ে একটু হতাশা ছিল নির্বাচকদের। শেষ পর্যন্ত দেখাতে পারলেন প্রতিভার ঝিলিক। রাজশাহীর প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের পাঁচজনই তার শিকার। স্বীকৃত যে কোনো পর্যায়ের ক্রিকেটে এটি তার প্রথম ৫ উইকেট।
জুবায়েরকে নিয়ে কৌতূহল ছিল আরও বেশি। দেশের ক্রিকেটে একসময় অনেক আশা নিয়ে আসা লেগ স্পিনার নিজেকে হারিয়ে হাপিত্যেশ করছিলেন ম্যাচ খেলার জন্য। অবশেষে ঘরোয়া ক্রিকেটে একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেন ১ বছর পর। শুরুটা ছিল তার বেশ বাজে। দুই স্পেল মিলিয়ে প্রথম ৭ ওভারে রান দিয়েছিলেন ৫৩। এনামুল হকের ব্যাটেই হজম করেছিলেন ৫ ছক্কা।
পরে অবশ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন। উইকেটও নিয়েছেন একটি। বোল্ড করে দিয়েছেন ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৫ রান করা মোহাম্মদ মিঠুনকে। দিন শেষে তার বোলিং ফিগার ১৩-০-৬৮-১।