মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার ভারত সফরের প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ। এদিন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করেছেন ভেটোরি। সহকর্মী কোচদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। ইনডোরে স্কিল অনুশীলনে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছেন নতুন শিষ্যদের ব্যাটিং-বোলিং।
মাহমুদউল্লাহ ও ইমরুল কায়েসকে থ্রো-ডাউন করেছেন। লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেছেন। অন্য স্পিনারদের সঙ্গেও কিছু কিছু কথা হয়েছে। অসুস্থতার জন্য ছিলেন না সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবালও ছিলেন অনুপস্থিত। ভারত সফরের টি-টোয়েন্টি দলে না থাকলেও অনুশীলনে ছিলেন ইমরুল কায়েস।
পুরোদমে কাজ শুরুর আগে পুরো প্রক্রিয়া বুঝে নিতে চাইছেন ভেটোরি। খেলোয়াড়ী জীবনে ছিলেন ধীর-স্থির, কোচিং দর্শনেও আছে এর ছাপ। অনুশীলনে বেশ সক্রিয়ভাবেই অংশ নিয়েছেন ভেটোরি। প্রথম দিনেই নজর কেড়েছেন নতুন শিষ্যদের। অনুশীলন শেষে বাঁহাতি স্পিনার আরফাত সানি জানান, ভেটোরির কাছ থেকে নতুন কিছু শিখতে উন্মুখ তারা।
বেলা তিনটা থেকে ছিল বাংলাদেশের অনুশীলন। যথারীতি সবার আগে মাঠে আসেন মুশফিকুর রহিম। কিছুক্ষণ নক করার পর ফিরেন প্যাভিলিয়নে। এরপর সব ক্রিকেটাররা যান ইনডোরে। সেখানে আধ ঘণ্টার মতো ব্যাটিং করে মুশফিক ফিরেন শের-ই-বাংলায়। সেন্টার উইকেটে কিছুক্ষণ ব্যাটিং করার পর লম্বা সময় ধরে করেন কিপিং অনুশীলন।
ইমরুল, সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ, লিটন দাস, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন ব্যাটিং করেছেন নেটে। তিন বছর পর দলে ফেরা আল আমিন হোসেন ও আরাফাত সানির সঙ্গে নেটে বোলিং করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও শফিউল ইসলাম। ব্যাটিংয়ের আগে পরে হাত ঘুরিয়েছেন মোসাদ্দেক-মাহমুদউল্লাহ-আফিফ।
সেই বিশ্বকাপ থেকে ফিল্ডিং ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। ক্যাচিংয়ে ব্যর্থতার জন্য কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল রায়ান কুককে। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফিল্ডিংয়ে উন্নতির ছাপ ছিল। সেটা ধরে রাখতে প্রথম দিনে কিছুক্ষণ ক্যাচিং অনুশীলন করিয়েছেন ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক।
খেলোয়াড়দের ধর্মঘটে টালমাটাল হয়ে পড়েছিল দেশের ক্রিকেট। শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল ভারত সফর। সঙ্কটের অবসানের পর এই প্রস্তুতি ক্যাম্প দিয়ে সচল হয়েছে ক্রিকেট। সানি জানান, সেই সময়টা নিয়ে এখন আর ভাবছেন না ক্রিকেটাররা। তাদের সমস্ত মনোযোগ ভারত সফরের জন্য সম্ভাব্য সেরা প্রস্তুতির দিকে।