হেডিংলি টেস্টে চলছে বোলারদের দাপট। দ্বিতীয় দিনে উইকেট পড়েছে ১৬টি। আগের দিন ১৭৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। শুক্রবার সেই পুঁজিতেই মিলেছে ১১২ রানের লিড। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে তারা দিন শেষ করেছে ৬ উইকেটে ১৭১ রানে।
দুই ইনিংস মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে এখন ২৮৩ রানে।
স্টিভেন স্মিথের বিশ্রামে সুযোগ পাওয়া লাবুশেন যেন সাবেক অধিনায়কের অভাব বুঝতেই দিচ্ছেন না। প্রথম ইনিংসে ৭৪ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটসম্যান এবার অপরাজিত আছেন ৫৩ রানে।
দিনের প্রথম ভাগে অস্ট্রেলিয়ার তিন পেসার বিধ্বস্ত করেছে ইংলিশ ব্যাটিং। জশ হেইজেলউড নেন ৫ উইকেট। তিনটি নেন প্যাট কামিন্স, দুটি জেমস প্যাটিনসন। তাতে স্বাগতিকরা প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় ৬৭ রানে। গত ৭১ বছরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের সর্বনিম্ন দলীয় ইনিংস এটি।
ইংলিশরা পরে বোলিংয়ে আবার চেষ্টা করেছে ম্যাচে ফিরতে। ডেভিড ওয়ার্নারকে শূন্য রানেই ফিরিয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড। মার্কাস হ্যারিস ও উসমান খাওয়াজাও থাকতে পারেননি লম্বা সময়।
তবে লাবুশেনের সৌজন্যে একটু একটু করে এগিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার রান। ছোট ছোট জুটিতে বেড়েছে লিড।
৮.৪ ওভার বোলিংয়ের পর জফরা আর্চার পায়ে ক্র্যাম্প নিয়ে মাঠ ছাড়ায় একটু কমে যায় ইংল্যান্ডের বোলিং ধার। অস্ট্রেলিয়া কাজে লাগিয়েছে সেটি।
চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় লড়াই করে লাবুশেন তুলে নিয়েছেন সিরিজে টানা তৃতীয় ফিফটি। অস্ট্রেলিয়ার লিড পৌঁছে গেছে তিনশর কাছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ১৭৯
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৭.৫ ওভারে ৬৭ (বার্নস ৯, রয় ৯, রুট ০, ডেনলি ১২, স্টোকস ৮, বেয়ারস্টো ৪, বাটলার ৫, ওকস ৫, আর্চার ৭, ব্রড ৪*, লিচ ১; কামিন্স ৯-৪-২৩-৩, হেইজেলউড ১২.৫-২-৩০-৫, লায়ন ১-০-২-০, প্যাটিনসন ৫-২-৯-২)।
অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: ৫৭ ওভারে ১৭১/৬ (হ্যারিস ১৯, ওয়ার্নার ০, খাওয়াজা ২৩, লাবুশেন ৫৩*, হেড ২৫, ওয়েড ৩৩, পেইন ০, প্যাটিনসন ২*; আর্চার ৮.২-২-১৬-০, ব্রড ১২-২-৩৪-২, ওকস ১০-১-৩৪-১, লিচ ১১-০-৪৬-১, স্টোকস ১৫.২-৪-৩৩-২)