টিকে থাকল বিতর্কিত দুই স্তরের নির্বাচক কমিটি

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন ও আরেক নির্বাচক হাবিবুল বাশারের মেয়াদ বাড়িয়েছে বিসিবি। সঙ্গে বেড়েছে দুই স্তর বিশিষ্ট নির্বাচক কমিটির মেয়াদও। তুমুল বিতর্কিত এই দল নির্বাচন পদ্ধতিই ধরে রেখেছে বিসিবি। 

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 July 2019, 05:18 PM
Updated : 27 July 2019, 05:18 PM

শনিবার বোর্ড সভা শেষে নির্বাচক কমিটি নিয়ে এই সিদ্ধান্তগুলোর কথা জানান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। মিনহাজুল ও হাবিবুলের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। কয়েক দিন আগেই একটি সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি জানিয়েছিলেন, নির্বাচকদের কাজে তারা মোটামুটি সন্তুষ্ট।

নির্বাচক সবসময় বেজোড় সংখ্যক রাখাই নিয়ম। কিন্তু সাজ্জাদ আহমেদ স্বেচ্ছায় সরে যাওয়ার পর থেকেই দীর্ঘদিন নির্বাচক প্যানেলে আছেন কেবল দুইজন। বিসিবি সভাপতি জানালেন, তৃতীয় আরেকজনকে এখনও খুঁজছে বোর্ড।

তবে এটির চেয়েও উল্লেখযোগ্য খবর দুই স্তরের দল নির্বাচন পদ্ধতি আরেক দফায় টিকে যাওয়া। ২০১৬ সালে সেই সময়ের প্রধান কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহের দাবি মেনে তাকে নির্বাচক কমিটিতে জায়গা দিতে এই নিয়ম করা হয়েছিল। 

দুই স্তরের নিচের ধাপে থাকে নির্বাচক প্যানেল, যেখানে প্রধান নির্বাচকের সঙ্গে থাকেন অন্য দুই নির্বাচক (আপাতত একজন)। আর ওপরের স্তর নির্বাচক কমিটি, যেটির প্রধান ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান (বর্তমানে আকরাম খান)। তার সঙ্গে সেখানে থাকেন প্রধান কোচ, ম্যানেজার, অধিনায়ক ও প্রধান নির্বাচক।

কোচ ও অধিনায়ক অনেক সময় নির্বাচক কমিটিতে থাকলেও ম্যানেজারের নির্বাচক কমিটিতে থাকা বেশ বিরল। ক্রিকেট ইতিহাসে তার চেয়েও বিরল দুই স্তর বিশিষ্ট নির্বাচক  কমিটি। গত তিন বছরে এটির কর্মপদ্ধতি ও কার্যকারিতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন, অনেক বিতর্ক থাকলেও বিসিবি সরে আসেনি সেটি থেকে। বদল আসেনি হাথুরুসিংহে দায়িত্ব ছেড়ে চলে যাওয়ার পরও। বিসিবি প্রধান জানান, এই পদ্ধতিই তার কাছে উপযুক্ত বলে মনে হয়েছে।