অধিনায়কের সাবধানী উচ্চারণের কারণটিও অনুমান করে নিতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। শিরোপার কাছে গিয়েও হৃদয় ভাঙার যন্ত্রণায় তো এই দল কম পোড়েনি। গত কয়েক বছরে বেশ কটি ফাইনালে খেললেও বিজয় মঞ্চে পা রাখা হয়নি একবারও। এশিয়া কাপ ফাইনালে বারবার হতাশায় ডুবতে হয়েছে। সবচেয়ে বড় হতাশা ছিল সম্ভবত গত বছর দেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল।
জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে আয়োজিত সেই ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টকে মনে করা হচ্ছিল বাংলাদেশের ট্রফি জয়ের সেরা সুযোগ। প্রথম তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষদের উড়িয়ে ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ফাইনাল জয়ের পথ মেলেনি সেবারও। হারতে হয়েছিল শ্রীলঙ্কার কাছে।
সম্ভাবনার সূর্য উঁকি দিচ্ছে এবারও। কন্ডিশন যদিও বিরুদ্ধ। এরপরও আয়ারল্যান্ড ও দ্বিতীয় সারির ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সঙ্গে লড়াইয়ে শিরোপার আশা দেখতেই পারে বাংলাদেশ।
কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতার কারণেই স্বপ্নের কথা জোর গলায় বলতে পারছেন না মাশরাফি। সোমবার ডাবলিনে অনুশীলনের আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, ট্রফির ভাবনায় কাতর হতে চান না তারা।
“কোনো কিছুই সহজ নয়। ঘরের মাটিতে গত বছর যখন জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ হলো, তখনও প্রত্যাশা ছিল। সেবারই সবচেয়ে ভালো সুযোগ গেছে কারণ আমরা ঘরের মাঠে খেলছিলাম। সেরা সুযোগ ছিল।”
“আসলে হয় কী, এসব চিন্তা করতে গেলে আরও চাপ বাড়তে থাকে। ফাইনালে উঠতে হবে আগে, তার পর ট্রফির চিন্তা করতে হবে। ফাইনালে ওঠার আগে চারটি ম্যাচ খেলতে হবে আমাদের।”
ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মঙ্গলবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। শুরুটা ভালো করে অধিনায়ক এগোতে চান প্রতিটি ম্যাচ ধরে।
“আমরা আপাতত ভাবছি কালকের ম্যাচটি গুরুত্ব সহকারে খেলতে। কালকে ভালোভাবে খেলতে পারলে এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারব (ফাইনালের পথে)।”