বোলিং নিয়ে ‘টেনশন’ মূলত বোলিং না করতে পারা নিয়ে। কাঁধের চোটের কারণে এই মুহূর্তে বোলিং করার অবস্থায় নেই মাহমুদউল্লাহ। কবে বোলিং করতে পারবেন, সেটির নিশ্চয়তাও নেই। অন্তত ত্রিদেশীয় সিরিজে বোলিং করতে পারছেন না, সেটি একরকম নিশ্চিত।
গত নিউ জিল্যান্ড সফর থেকে এই চোট নিয়ে ফিরেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কাঁধে ব্যথা ছিল আরও আগে থেকেই। তবে ওই সফরে অনেকটাই বেড়ে যায় ব্যথার তীব্রতা। অসহনীয় পর্যায়ে যাওয়ার পর এমআরআই করানো হয়। তাতে ধরা পড়ে ‘গ্রেড থ্রি টিয়ার’।
এই চোটে ব্যাটিংয়ে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু শঙ্কা বোলিং ও থ্রোয়িংয়ে। সেই শঙ্কার কারণেই খেলেননি নিউ জিল্যান্ড সফরের পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। বিশ্রাম নিয়েও খুব একটা লাভ হয়নি। বোলিং করার অবস্থায় নেই কাঁধ। এমনকি থ্রোয়িং নিয়েও তাকে থাকতে হবে সতর্ক। লম্বা থ্রো করতে পারবেন না। ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে তার ফিল্ডিং করার সম্ভাবনা সামান্যই।
মাহমুদউল্লাহর বোলিং করতে না পারা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার কপালেও। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন, বিকল্প অনেক কিছুই ভাবতে হচ্ছে তাকে।
“এখন যা অবস্থা ওর কাঁধের, তাতে এই টুর্নামেন্টে ওর বোলিং করার চান্সই দেখি না। বিশ্বকাপেও করতে পারে কিনা, এই নিয়ে টেনশনে আছি। রিয়াদ বোলিং করতে না পারা মানে অনেক কিছু মাথায় রাখতে হয়। কারও খারাপ দিন আসতে পারে, কারও ইনজুরি হতে পারে। কাজ চালানোর জন্য তখন বিকল্প ভাবতে হয়।”
টিম ম্যানেজমেন্টের নানা সূত্র থেকে যা জানা যাচ্ছে, অস্ত্রোপচার না করালে পুরোপুরি ঠিক হবে না মাহমুদউল্লাহর কাঁধ। বোলিং ও থ্রোয়িং নিয়ে শঙ্কা থাকবেই। এসব নিয়ে দুর্ভাবনায় আছেন স্বয়ং মাহমুদউল্লাহও। তবে বিশ্বকাপে বোলিং করার আশা এখনই ছাড়ছেন না তিনি।
“ব্যাটিং করতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু বোলিং করতে গিয়ে যদি কাঁধের অবস্থা খারাপ হয়, তাহলে ব্যাটিংয়েও প্রভাব পড়তে পারে। এজন্য বোলিংয়ে কোনো ঝুঁকিও নিতে চাই না। এখনও চেষ্টাই করছি না বোলিংয়ের। তবে বিশ্বকাপে যদি খুব প্রয়োজন হয়, অন্তত কয়েক ওভার করতে পারি, সেই আশা ছাড়ছি না। অধিনায়কের সঙ্গে কথা হয়েছে এসব নিয়ে। দেখা যাক।”
অধিনাক মাশরাফি অবশ্য বোলিং নিয়ে কোনো চাপই দিতে চাইছেন না মাহমুদউল্লাহকে।
“আমরা অবশ্যই রিয়াদকে চাপ দেব না বোলিং করতে। কারণ কোনোভোবেই চাই না বোলিং করতে গিয়ে কাঁধের অবস্থা আরও খারাপ হোক বা ব্যাটিংয়ে প্রভাব পড়ুক। বোলিং পুরোপুরিই ওর ওপর। যখন বলবে যে বোলিং করতে পারবে, তখনই আমি ওকে বোলিংয়ে ডাকার কথা ভাবব।”
বিশ্বকাপের মাঝামাঝি থেকে শেষদিকে ইংল্যান্ডের উইকেটগুলো ক্লান্ত হলে স্পিনারদের বড় ভুমিকা থাকতে পারে। অন্তত সেই সময় হলেও যেন বোলার মাহমুদউল্লাহর কিছুটা পাওয়া যায়, আপাতত সেই আশায় আছে দল।