একাদশ রাউন্ডে ৩৪ রানে জিতেছে প্রাইম ব্যাংক। ২০১ রান তাড়ায় ৪৫ ওভার ২ বলে ১৬৭ রানে গুটিয়ে যায় গাজী।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে বৃহস্পতিবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি প্রাইম ব্যাংকের। দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি দুই ওপেনার। পরের চার ব্যাটসম্যানের তিনজন দুই অঙ্কে গেলেও কেউই পারেননি বড় ইনিংস খেলতে।
৯২ রানে প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ধুঁকতে থাকা প্রাইম ব্যাংককে পথ দেখান নাঈম ও আরিফুল হক। দুই জনই ফিরেন ৩৪ রান করে। শেষের দিকে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন মনির হোসেন। তাদের ব্যাটে দুইশ ছাড়ায় দলের সংগ্রহ।
গাজীর অফ স্পিনার সঞ্জিত সাহা ৩ উইকেট নেন ৩০ রানে। দুটি করে উইকেট নেন নাসুম আহমেদ ও কামরান গুলাম।
রান তাড়ায় গাজীর হয়ে প্রায় একাই লড়াই করেন মাইশুকুর রহমান। রনি তালুকদার, ইমরুল কায়েস, শামসুর রহমান ও কামরান দুই অঙ্কে গেলেও কেউই টানতে পারেননি দলকে।
প্রায় একার চেষ্টায় দলকে টানছিলেন মাইশুকুর। প্রাইম ব্যাংকের বোলাররা থামাতে পারেনি এই ওপেনারকে। ১২৪ বলে দুই ছক্কা ও সাত চারে ৭৪ রান করা মাইশুকুর মাঠ ছাড়েন ক্র্যাম্পের কাছে হার মেনে। এরপর আর এগোয়নি গাজীর ইনিংস।
প্রাইম ব্যাংকের কাপালী ও নাঈম নেন দুটি করে উইকেট। ব্যাটে-বলে নিজেকে মেলে ধরে তরুণ নাঈম জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
১১ ম্যাচে অষ্টম জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে প্রাইম ব্যাংক। আবাহনীর চেয়ে রান রেটে পিছিয়ে তিন নম্বরে রয়েছে দলটি। ২০ পয়েন্ট নিয়ে প্রাথমিক পর্ব শেষে শীর্ষে রয়েছে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। ষষ্ঠ হারের স্বাদ পাওয়া গাজী ১০ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে থেকে লিগ শেষ করেছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৫০ ওভারে ২০১/৯ (এনামুল ৪, জাকির ৯, সুদীপ ২১, আল আমিন জুনিয়র ৯, কাপালী ১৪, নাহিদুল ১৮, নাঈম ৩৪, আরিফুল ৩৪, মনির ২৫*, রাজ্জাক ৮, আল আমিন ১১*; আবু হায়দার ১/৪৯, মেহেদি ০/১, শামসুর ০/৭, রাব্বি ১/৩৯, সঞ্জিত ৩/৩০, নাসুম ২/৩২, কামরান ২/৪২)
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ৪৫.২ ওভারে ১৬৭ (মাইশুকুর আহত অনুপস্থিত ৭৪, রনি ১০, ইমরুল ১৮, শামসুর ২৭, কামরান ১৪, শামসুল ০, মেহেদি ২, আবু হায়দার ৩, সঞ্জিত ১২, নাসুম ২, রাব্বি ১*; আল আমিন ১/৩০, মনির ১/২৭, নাঈম ২/৩৯, রাজ্জাক ০/৪০, কাপালী ২/১৩, আরিফুল ১/১৮)
ফল: প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব
ম্যান অব দা ম্যাচ: নাঈম হাসান