বিপিএলে বুধবার সিলেটে ঢাকা ডায়নামাইটস ও রাজশাহী কিংসের ম্যাচে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে তৃতীয় আম্পায়ার মাসুদুর রহমানের এই সিদ্ধান্ত।
রাজশাহীর ইনিংসের সেটি দ্বাদশ ওভার। এক ওভারেই সুনিল নারাইন ফিরিয়ে দেন থিতু দুই ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার নাফীস ও মার্শাল আইয়ুবকে। ওই ওভারে আউট হতে পারতেন রায়ান টেন ডেসকাটও।
ডেসকাটের বিরুদ্ধে আবেদনে আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেয় ঢাকা। আলট্রা এজে দেখা যায় বল স্পর্শ করেছিলেন এই ব্যাটসম্যানের গ্লাভস। দীর্ঘক্ষণ দেখার পর বল গ্লাভসে লেগেছে নিশ্চিত হয়ে তৃতীয় আম্পায়ার নটআউট ঘোষণা করে দেন। কিন্তু ব্যাটসম্যানের গ্লাভস ছুঁয়ে আসা বলটি উইকেটে পেছনে ক্যাচও নিয়েছিলেন কিপার নুরুল হাসান সোহান।
নিয়ম অনুযায়ী, ডিআরএসের আবেদন যে আউটের জন্যই করা হোক, সম্ভাব্য সব আউটই যাচাই করে দেখতে হবে রিপ্লেতে। এলবিডব্লিউ না হলেও ডেসকাট কটবিহাইন্ড হয়েছিলেন কিনা, সেটি আর দেখেননি তৃতীয় আম্পায়ার। ঢাকার ফিল্ডাররা জোর প্রতিবাদ জানান। খেলা শুরু হতে দেরি হয় আরও। কিন্তু সিদ্ধান্ত বদলায়নি। টিভিতে এরপর এটির রিপ্লে দেখানো হয়নি একবারও।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার প্রতিনিধি হয়ে আসা তরুণ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নাঈম জানালেন, আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বিস্মিত করেছিল তাদের।
“এলবিডব্লিউর আবেদনই ছিল মূলত। তবে সোহান ভাই ক্যাচও ধরেছিল। ওটা নিয়েই কথা হচ্ছিল যে এলবিডব্লিউ না হলে ক্যাচ আউট হবেই। হ্যাঁ, একটু তো ছিলামই (বিস্মিত)।”
নাঈমের পাশে বসা ঢাকার ম্যানেজার আজম ইকবালও জানালেন আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে বিস্ময়ের কথা।
“প্লেয়াররা অবশ্যই লেগ বিফোরের আপিল করেছিল। এরপর দেখা যাচ্ছিলো এইজ হয়েছে। আমি জানি না, কিসের ভিত্তিতে বা ভাবনায় আম্পায়াররা আর এগোয়নি।”
এবার বিপিএলে শুরুর কয়েকদিন ডিআরএসে আলট্রা এজ না থাকার সময়টায় মাঠের কয়েকটি সিদ্ধান্ত বদলে গিয়েছিল তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। আলট্রা এজ ছাড়া কিভাবে শতভাগ নিশ্চিত হতে পেরেছিলেন তৃতীয় আম্পায়ার, সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল অনেক। আলট্রা এজ যোগ হওয়ার পর বিতর্ক কমেছিল। সিলেট পর্বে প্রথম দিনে ডিআরএসই ছিল না। দ্বিতীয় দিনে ডিআরএস যোগ করা হলেও বিতর্কের জন্ম ঠিকই হলো।