রাজশাহীতে জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম স্তরের ম্যাচটিতে প্রথম তিন দিনের বেশির ভাগ সময় রাজত্ব করেছে রাজশাহী। কিন্তু লিটনের সেঞ্চুরি বলতে গেলে এক সেশনেই পাল্টে দিয়েছে চিত্র। প্রথম ইনিংসে রাজশাহী ইনিংস ঘোষণা করে ৪ উইকেটে ৫৮৯ রানে। লিড ছিল তাদের ৪৩৮ রানের।
কিন্তু প্রথম ইনিংসে ১৫১ রানে গুটিয়ে যাওয়া রংপুর দ্বিতীয় ইনিংসে ওভারপ্রতি সাড়ে ছয় করে রান তুলে করেছে ২ উইকেটে ৩১৯। বিশাল লিডের সৌজন্যে যদিও বুধবার তৃতীয় দিন শেষে রাজশাহী এগিয়ে ১১৯ রানে, তবে ম্যাচ বাঁচানোর সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে রংপুর।
তৃতীয় উইকেটে জহুরুল ইসলামের সঙ্গে জুনায়েদ গড়েন ৯০ রানের জুটি। পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে জহুরুল ৫৫ করেন ৫০ বলে।
জুনায়েদ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার ১৪তম সেঞ্চুরি স্পর্শ করার পর ইনিংস ঘোষণা করে রাজশাহী। ১৯৯ বলে অপরাজিত ১০০ করেন জুনায়েদ।
৪৩৮ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নামলেও লিটনের ব্যাটে ছিল না সেটির বিন্দুমাত্র প্রভাব। শুরু থেকেই তার ব্যাট ছিল উত্তাল। ফরহাদ রেজার করা ইনিংসের প্রথম ওভারে দুটি বাউন্ডারিতে শুরু। ৪৪ বলে করে ফেলেন ফিফটি।
দ্বিতীয় উইকেটে লিটনের সঙ্গে মাহমুদুল হাসানের জুটি ২১৯ রানের। ১০৮ বলে লিটন দেখা পান দেড়শ রানের, ১৪০ বলে ডাবল সেঞ্চুরি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ডে ছাড়িয়ে যান নিজেই।
গত এপ্রিলে বিসিএলে পূর্বাঞ্চলের হয়ে ২৭৪ রানের ইনিংসটির পথে লিটন দুইশ ছুঁয়েছিলেন ১৯০ বলে, সেটিই ছিল আগের রেকর্ড।
সেটিই ছিল দিনের শেষ ওভার। তিনে নামা মাহমুদুল হাসানও ওয়ানডের গতিতে খেলে দিন শেষে অপরাজিত ৮১ বলে ৭২ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রংপুর ১ম ইনিংস: ১৫১
রাজশাহী ১ম ইনিংস: ১৫০ ওভারে ৫৮৯/৪ (ডি.)(আগের দিন ৪১৯/২) (জুনায়েদ ১০০*, ফরহাদ হোসেন ৬২, জহুরুল ৫৫, সাব্বির ১৫*; শুভাশিস ০/৭৮, আরিফুল ১/৮৬, সাদ্দাম ০/৯২, সোহরাওয়ার্দী ১/১০৩, মাহমুদুল ১/৮১, সাজেদুল ১/৭৮, তানবীর ০/২৯, নাঈম ০/১৯, ধীমান ০/৭)।
রংপুর ২য় ইনিংস: ৪৯ ওভারে ৩১৯/২ (লিটন ২০৩, জাভেদ ৩৫, মাহমুদুল ৭২*, সাজেদুল ২*; ফরহাদ রেজা ০/৩২, মহর ০/৪৪, তাইজুল ১/৯৮, শফিকুল ১/৬০, সানজামুল ০/৪০, ফরহাদ হোসেন ০/২৪, সাব্বির ০/১৫)।