বিসিএলের প্রথম রাউন্ডে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে প্রথম দিনেই অনেকটা এগিয়ে গেছে বিসিবি উত্তরাঞ্চল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার মধ্যাঞ্চল অলআউট হয়ে যায় ১৮৮ রানে। উত্তরাঞ্চল দিন শেষ করেছে বিনা উইকেটে ৯৩ রান তুলে।
উত্তরাঞ্চলের পেস চতুষ্টয়ের সামনেই ধসে গেছে মধ্যাঞ্চলের ইনিংস। চারটি উইকেট নিয়েছেন আরিফুল। দুটি করে শফিউল ইসলাম ও শুভাশিস রায়। ফরহাদ রেজা নিয়েছেন একটি। বাকি একটি রান আউট, সেটিও করেছেন আরিফুল।
সিলেটের উইকেটে এমনিতেই একটু সহায়তা থাকে পেসারদের। কন্ডিশনের কারণে বেড়েছে সহায়তার মাত্রা। সেটিই কাজে লাগিয়েছেন আরিফুলরা।
নতুন বলে রনি তালুকদারকে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেক থ্রু দিয়েছিলেন শফিউল। চার নম্বরে বোলিংয়ে আসা আরিফুল এরপর নিজের টানা চার ওভারে নেন চার উইকেট। ফিরিয়ে দেন সাদমান ইসলাম, মার্শাল আইয়ুব, রকিবুল হাসান ও শুভাগত হোমকে।
পরে শফিউল-শুভাশিসরা আবার যোগ দিলে ৭৭ রানেই মধ্যাঞ্চল হারায় ৭ উইকেট। প্রথম ৬ ব্যাটসম্যানের মধ্যে দু অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন কেবল মেহরাব হোসেন জুনিয়র, করেছেন ২৭।
সাত ও আটে নেমে তানবীর হায়দার ও মোশাররফ হোসেন খানিকটা সময় কাটান উইকেটে। তবে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি এই দুজনও। মধ্যাঞ্চল ১২২ রানে হারায় ৯ উইকেট।
সেখান থেকে দলকে খানিকটা ভদ্রস্থ পর্যায়ে টেনে নেয় মধ্যাঞ্চলের শেষ জুটি। ইরফান শুক্কুর ও তাসকিন আহমেদ দশম উইকেটে যোগ করেন ৫৬ রান!
নয়ে নেমে ৭ চার ও ২ ছক্কায় শুক্কুর ৫৭ রান করেন ৫৫ বলে। ৩৬ বলে ৬ চারে ৩৪ করেছেন এগারোয় নামা তাসকিন।
পেসারদের সাফল্যের দিনে উইকেটের পেছনে ৬টি ক্যাচ নিয়েছেন উত্তরাঞ্চলের কিপার ধীমান ঘোষ।
উত্তরাঞ্চলের পেসারদের সাফল্যের পথ পরে অনুসরণ করতে পারেনি মধ্যাঞ্চলের পেসাররা। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মিজানুর রহমান উত্তরাঞ্চলকে এনে দেন দারুণ শুরু। দিন শেষের আগে দুজনে তোলেন ৯৩ রান।
৪২ রানে দিন শেষ করেছেন শান্ত। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে টানা চতুর্থ ইনিংসে সেঞ্চুরির আশায় থাকা মিজানুর দিন শেষ করেছেন ৪৯ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মধ্যাঞ্চল: ৫৬ ওভারে ১৮৮ (সাদমান ৯, রনি ৬, মেহরাব ২৭, রকিবুল ৪, মার্শাল ০, শুভাগত ২, তানবীর ১২, মোশাররফ ১৯, শুক্কুর ৫৭*, শরিফ ২, তাসকিন ৩৪; শফিউল ২/৩৯, শুভাশিস ২/৩৭, ফরহাদ রেজা ১/৩৫, আরিফুল ৪/৫৫, নাঈম ০/৬)।
উত্তরাঞ্চল: ২৬ ওভারে ৯৩/০ (শান্ত ৪২*, মিজানুর ৪৯*; তাসকিন ০/২৯, শরিফ ০/৩০, মোশাররফ ০/১৭, শুভাগত ০/১৩, তানবীর ০/৪)।