* ইনিংসটির পথে এই বছর হাজার রান স্পর্শ করেছেন স্মিথ। এই নিয়ে টানা চার পঞ্জিকাবর্ষে করলেন হাজার রান। এই চার বছরে তার ব্যাটিং গড় ৮১.৮৫, ৭৩.৭০, ৭১.৯৩ ও চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ৭৪.৪৬। প্রতি বছরই ৭০-এর বেশি। টানা চার বছরে ৫০ গড়ে হাজার রানও নেই টেস্ট ইতিহাসে আর কারও। অস্ট্রেলিয়ারই ম্যাথু হেইডেন টানা চার বছরে হাজার করেছিলেন। তিন বছর পঞ্চাশের বেশি গড় থাকলেও চতুর্থ বছর গড় ছিল ৪৩.১৯।
* টানা চার পঞ্জিকাবর্ষে হাজার টেস্ট রান করার কৃতিত্ব আছে আর কেবল হেইডেনেরই। ২০০১ থেকে ২০০৫, টানা ৫ বছর হাজার রান করেছিলেন হেইডেন। স্মিথের সামনে আগামী বছর সুযোগ থাকবে সেই রেকর্ড ছোঁয়ার। টানা তিন বছর হাজার রান আছে ব্রায়ান লারা, মার্কাস ট্রেসকোথিক ও কেভিন পিটারসেনের।
* ২০১৪ থেকে ২০১৭, এই চার বছরে ২০টি সেঞ্চুরি করলেন স্মিথ। চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড এটিই। এর আগে চার বছরের মধ্যে ১৯ করে সেঞ্চুরি করেছিলেন ম্যাথু হেইডেন ও রিকি পন্টিং।
* পার্থ টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ১০৮ ইনিংসে স্মিথের রান ৫ হাজার ৭৮৬। ১০৮ ইনিংস শেষে এত রান টেস্ট ইতিহাসে নেই আর কারও। ৫ হাজার ৭৬৪ রান করে আগের রেকর্ড ছিল গ্যারি সোবার্সের।
* ১০৮ ইনিংসে ২২ সেঞ্চুরি হলো স্মিথের। ২২ সেঞ্চুরিতে তিনি তৃতীয় দ্রুততম। সবার ওপরে অবশ্যই ডন ব্র্যাডম্যান। ৫৮ ইনিংসে ২২টি করেছিলেন ব্র্যাডম্যান, ১০১ ইনিংসে ২২টি সুনিল গাভাস্কার।
* ওয়াকায় অ্যাশেজ টেস্টে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ছিল ১৯৭০ সালে ইয়ান রেডপ্যাথের ১৭১। এই মাঠের শেষ টেস্টে সেই স্কোর ছাড়িয়ে গেলে স্মিথ। পরে রেডপ্যাথকে ছাড়িয়ে গেছেন মার্শও।
* ৩০১ বলে স্মিথ ছুঁয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরি। গত প্রায় ৮০ বছরে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এটি দ্রুততম অ্যাশেজ ডাবল সেঞ্চুরি। ১৯৩৮ সালে ট্রেন্ট ব্রিজে গ্রেট স্ট্যান ম্যাকক্যাব দুইশ ছুঁয়েছিলেন ২৫৭ বলে।