শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটই নয়, আইপিএলসহ সব ধরনের ঘরোয়া ক্রিকেটও ছাড়ছেন নেহরা। নব্বই দশকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করা গুটিকয় ক্রিকেটারের একজন তিনি, যিনি এখনও খেলে যাচ্ছেন।
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতের অনেক সাফল্যের সারথি নেহরার ক্যারিয়ার চোট-আঘাত ও অনেক প্রতিকূলতাকে জয় করার অবিশ্বাস্য এক গল্প। ১২ বার অস্ত্রোপচার ও ছোটখাটো আরও অনেক চোটের পরও ঘুরে দাঁড়িয়ে পুনরুজ্জীবিত করেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।
১৯৯৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরু। তবে সাফল্যের আলো ছড়ান ওয়ানডে ক্রিকেটে। যেখানে তার অভিষেক ২০০১ সালে। ২০০৩ বিশ্বকাপে ভারতের ফাইনাল খেলায় বড় অবদান ছিল তার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৩ রানে ৬ উইকেট এখনও বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।
চোট বাধা হয়ে দাঁড়ায় দ্রুতই। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৯ সালের জুন পর্যন্ত খেলতে পারেননি একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচও। ২০১১ বিশ্বকাপের আগে আবারও গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠেন দলের। শিরোপা জয়ে রাখেন অবদান। সেমি-ফাইনালে আঙুল ভেঙে ফেলায় অবশ্য খেলতে পারেননি ফাইনালে।
২০১১ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালই নেহরার শেষ ওয়ানডে। টেস্ট ক্যারিয়ার থমকে ছিল ২০০৪ সাল থেকে। প্রায় বিস্মৃতই হয়ে গিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। কিন্তু আইপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করে ৫ বছর পর আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন ২০১৬ সালে, টি-টোয়েন্টি দিয়ে।
এই দফায় টি-টোয়েন্টিতে ছিলেন বেশ নিয়মিতই। তবে ভারতের পেস বোলিংয়ে এখন বিকল্প ও গভীরতা অনেক। বয়সও বাড়ছে। সব মিলিয়ে অবশেষে থামতে যাচ্ছেন নেহরা।