‘এত ভালো খেলোয়াড় হইনি যে বিশ্রাম লাগবে’

তার কাজটাও অলরাউন্ডারদের মতোই। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি করেন কিপিং। ১২ বছরের ক্যারিয়ার, গত ১০ বছর ধরেই তিন সংস্করণ খেলছেন নিয়মিত। বিশ্রামের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন না? হাসি মুখে মুশফিকুর রহিমের উত্তর, “ভাই, এত বড় খেলোয়াড় আমি হয়ে যাইনি যে আমার বিশ্রাম লাগবে…।”

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2017, 09:28 AM
Updated : 16 Sept 2017, 10:25 AM

সাকিব আল হাসানের সৌজন্যে গত কিছুদিনে দেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত শব্দ বুঝি ‘বিশ্রাম’। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর টেস্ট থেকে ৬ মাসের বিশ্রাম চেয়েছিনে সাকিব। বিসিবি দিয়েছে আপাতত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে।

ছুটি চাওয়ার আগে অধিনায়ক মুশফিকের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেননি সাকিব। দক্ষিণ আফ্রিকা সরে যাওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক জানালেন, তিনিও নানা জনের কাছ থেকে শুনতে পেয়েছেন।

“যখন সাকিব বোর্ড সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছে তখন আমরা জানতে পেরেছি। ছুটি পাবে কি পাবে না সেটা আমি জানতাম না। আমরা অফিসিয়ালি জানতাম না, এদিক-ওদিক থেকে শুনেছি।”

“যখন আমি শুনেছিলাম, তখন থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। তার বিকল্প তো পাওয়া যাবে না। তারপরও ক্রিকেট হচ্ছে ঐক্যের খেলা। চেষ্টা করব, ওকে ছাড়াই ভালো কিছু করতে। আমরা দল হিসেবে খেলতে পারলে তার অপূর্ণতা আমরা পূরণ করতে পারব।”

একজন সাকিব না থাকা মানে তার জায়গায় দুজন ক্রিকেটারকে ভাবতে হয়। সেই সমস্যাটা দক্ষিণ আফ্রিকায় পোহাতে হবে দলকে। মুশফিক অবশ্য আশাবাদী অতীত অভিজ্ঞতা থেকে।

“ওর জায়গাতে দুইজন খেলোয়াড়কে খেলাতে হয়। ওর মতো নাম্বার ওয়ান ক্রিকেটারকে মিস করা অধিনায়ক হিসেবে আমার জন্য খারাপ খবরই। তবে যদি ইনজুরিতে পড়ত, তাহলে আমাদের খেলতে হতোই। ওর জায়গায় যারা খেলবে, তাদের জন্য দারুণ সুযোগ এটি। যারা খেলবে, এই সুযোগ তাদের নতুনভাবে নেওয়া উচিত।”

“সাকিবকে ছাড়াও কিন্তু আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউ জিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ জিতেছি। ওকে অনেক মিস করবো। আশা করি ও যে কারনে বিরতিটা নিয়েছে, সেটা যেন ঠিক করে চনমন হয়ে ফিরতে পারে।”