বিতর্কের সূত্রপাত মুশফিকের কথা থেকেই। চট্টগ্রাম টেস্ট শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলে নিজের ভূমিকা জানতে চেয়ে আকুতি জানিয়েছিলেন মুশফিক। বলছিলেন, তার ভূমিকা সম্পর্কে ‘ওপরওয়ালারা’ ভালো বলতে পারবেন।
এই কথার প্রেক্ষিতেই ওই কথাগুলো বলেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান। এতে বিচলিত হয়ে ওঠেন মুশফিকও। বোর্ড প্রধানের সঙ্গে দেখা করে এসব নিয়ে কথাও বলেন টেস্ট অধিনায়ক।
শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকায় রওনা হওয়ার আগে মুশফিকের সংবাদ সম্মেলনে উঠল সেই প্রসঙ্গ। নিজেরে হতাশাটা লুকাননি উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
“এখানে খারাপ লাগাটাই স্বাভাবিক। কারন আপনি যে জিনিসটা এতো সততার সঙ্গে করছেন, সেটা নিয়ে কথা উঠলে তো খারাপ লাগবেই। আমার মনে হয় সমালোচনা যে কোন সময়ই থাকতে পারে, সেটা কাটিয়ে ওঠাই ক্রিকেটারদের জীবন। আমাকে ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞেস করলে আমিও বলব, আমরা সেটাই চেষ্টা করি।”
তবে বোর্ড প্রধানের সঙ্গে দেখা করার পর কিছুটা কমেছে মুশফিকের হতাশা। জানালেন, বোর্ডের প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে চান পারফরম্যান্স দিয়েই।
“বাংলাদেশ গত দুই-আড়াই বছরে টেস্ট ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলছে। বাইরে গিয়ে হয়ত শ্রীলঙ্কা ছাড়া কারও সঙ্গে জিততে পারিনি। তারপরও বাংলাদেশ এতো ধারাবাহিক কখনই টেস্টে ছিল না। হয়ত বা তাদের চাহিদা আরও বেশি। আমরা চেষ্টা করবো, এটা মানিয়ে নেওয়ার।”
“তারা হয়তো ভাবছে, বাংলাদেশে দল আরও ভালো করার সামর্থ্য রাখে। চেষ্টা থাকবে যারা যেটা চাইছে, যে ফলটা চাইছে, সেটা যেন আমরা এনে দিতে পারি।”