বৃষ্টির বাধায় শনিবার দ্বিতীয় ইনিংসে লিড খুব একটা বাড়িয়ে নিতে পারেনি জো রুটের দল। ২১.২ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে তারা অ্যালেস্টার কুককে হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ৭৪ রান।
তৃতীয় দিন শেষে ইংল্যান্ড এগিয়ে ২৫২ রানে। বৃষ্টির দাপটে এদিন খেলা কম হয়েছে ৫৮.৪ ওভার।
অভিষিক্ত টম ওয়েস্টলির সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন দ্বিতীয় উইকেটে ৪৪ রানের জুটি গড়েছেন কিটন জেনিংস। ব্যাটিং ব্যর্থতায় একাদশে জায়গা হারানোর শঙ্কায় থাকা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান অপরাজিত ৩৪ রানে। ২৮ রানে দিন শুরু করবেন ওয়েস্টলি।
প্রথম ইনিংসে দারুণ ব্যাটিং করা কুককে এবার দ্রুত ফিরিয়েছেন মর্নে মর্কেল। সর্বাধিক ১১ বার ইংলিশ এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের উইকেট পেলেন তিনি। প্রথমবারের মতো করলেন বোল্ড।
সাফল্য ওই একটিই। এক প্রান্তে দেখেশুনে খেলছেন জেনিংস। আরেক প্রান্তে সাবলীল ইংলিশদের নতুন তিন নম্বর ব্যাটসম্যান ওয়েস্টলি।
১২০ বলে ৮টি চারে ৫২ রান করা বাভুমাকে জনি বেয়ারস্টোর গ্লাভসবন্দি করে ১৭৫ রানে দক্ষি্ণ আফ্রিকাকে গুটিয়ে দেন রোল্যান্ড জোন্স। একই সঙ্গে ২০০৯ সালের পর প্রথম ইংলিশ পেসার হিসেবে টেস্ট অভিষেক পাঁচ উইকেট নেন তিনি।
সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে ৩৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন গ্রাহাম অনিয়ন্স। এবার রোল্যান্ড-জোন্স ৫৭ রানে পেলেন পাঁচটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩৫৩
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৫৮.৪ ওভারে ১৭৫ (এলগার ৮, কুন ১৫, আমলা ৬, ডি কক ১৫, দু প্লেসি ১, বাভুমা ৫২, মরিস ২, মহারাজ ৫, রাবাদা ৩০, মর্কেল ১৭, ফিল্যান্ডার ১০*; অ্যান্ডারসন ৩/২৫, ব্রড ১/৪৪, রোল্যান্ড-জোন্স ৫/৫৭, স্টোকস ১/২৬, রুট ০/৫, মইন ০/৯)।
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ২১.ওভারে ৭৪/১ (কুক ৭, জেনিংস ৩৪*; মর্কেল ১/২০, ফিল্যান্ডার ০/৩০, রাবাদা ০/৯, মরিস ০/১০)