‘অনেক উঁচুতে’ থাকবে এই জয়

ড্রেসিং রুমের ব্যালকনি তখন আরও ছোট ছিল। তবে সবার জায়গা হয়ে যেত। ২০০৫ সালে এখানে দাঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর উল্লাস করেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ১২ বছর পর সেখানে দাঁড়িয়েই ছুড়লেন হুঙ্কার। সাক্ষী আরও একটি স্মরণীয় জয়ের।

ক্রীড়া প্রতিবেদক কার্ডিফ থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 June 2017, 04:03 AM
Updated : 10 June 2017, 09:17 AM

মাঝের এই ১২ বছরেও মনে রাখার মতো জয় আছে বেশ। ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারত ও দক্ষিণ আফিকাকে হারানো, দুবার নিউ জিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করা, ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারানো, পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করা, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়।

এই পুরো পথচলায় কখনও পথিক মাশরাফি। কখনও দিশারী। কখনও বা দেখেছেন বাইরে থেকে। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে কার্ডিফের জয়টি কোথায় থাকবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে? মাশরাফি উত্তর দিলেন কারণ ব্যাখ্যা করেই।

“এই জয় অনেক উঁচুতে থাকবে। বিশেষ করে ম্যাচের পরিস্থিতি যদি চিন্তা করেন। প্রথম ইনিংস শেষে হয়তো মনে হচ্ছিলো সহজ হবে। কিন্তু ৩৩ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর জয়টা বিরাট ব্যাপার। এই জয় আমাদের বিশ্বাসী করে তুলবে ভবিষ্যতের জন্য। এই অবস্থা থেকে অনেক জেতা বড় দলের জন্যও কঠিন।”

“শীর্ষ পাঁচ দলের একটির বিপক্ষে জয় খুব দরকার ছিল। র‌্যাঙ্কিংয়ে আমাদের নিচের দিকের দল শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান জিতেছে এই টুর্নামেন্টে। আমাদেরও চাওয়া ছিল যেভাবে হোক জিতে শেষ করতে চাই। নিজেদের করণীয়টুকু আমরা করতে পেরেছি। সব মিলিয়ে খুব ভালো লাগছে।”

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আন্ডারডগ পাকিস্তানের জয়, পুনর্গঠনের পথে থাকা শ্রীলঙ্কার কাছে ‘ফেভারিট’ ভারতের পরাজয়ে বাংলাদেশের একটি জয়ও যেন সময়ের দাবি হয়ে গিয়েছিল। লোকের মুখ আর বাঁকা চাহনি বন্ধ করতেও জয়টি খুব করে চাইছিলেন অধিনায়ক।

“এই সব পর্যায়ে দল ভালো না করলে কথা উঠে। এই জয়টা তাই ভালো হয়েছে। আমার বিশ্বাস এখন সবাই বলবে যে আমরা আগের চেয়ে ভালো দল হয়ে উঠছি। দেশের মাটিতে জিতছিলাম, এখন বাইরে জিততে শুরু করেছি। এই ধরনের ম্যাচ এ কন্ডিশনে, এই পরিস্থিতিতে জিততে পারা দলকে অনেক অনুপ্রাণিত করবে।”

কাজটা যদিও অনেক কঠিন ছিল। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে থেকে যে বাস্তবতার কথা বলছিলেন মাশরাফি, সেটি বললেন গ্রুপ পর্ব শেষেও। আর জানিয়ে রাখেন একটি দাবি।

“হয়ত আজকে না জিতলে কথা হতো। কিন্তু সত্যি বলতে যে গ্রুপে পড়েছিলাম, এই কন্ডিশনে এই তিন দলকে হারানো কঠিন। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ৬ বছর পর খেলছি। ইংল্যান্ডের সঙ্গে যা খেলেছি দেশের মাটিতে। নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে গত ৬ মাসে ৬টি ম্যাচ খেলেছি। তবে এখানে হারানো কঠিন ছিল। তো পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে এই ধরনের প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এসব জায়গায় খেললে উন্নতি হবে।”