৮ জন ব্যাটসম্যান নিয়েও বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা আক্ষেপ করছেন আরেকটু বেশি রান না হওয়ায়। টেস্ট অধিনায়কের কণ্ঠেও একই কথা। আক্ষেপ কিছু রানের। বোলার একজন বেশি থাকলেও জয়ের নিশ্চয়তা থাকত না, দাবি মুশফিকের।
“আমার মতে, আমরা ২৫-৩০ রান কম করেছিলাম। হয়ত একজন বোলারের ঘাটতিও ছিল। মিরাজ ছিল না আজকে। অনিয়মিত বোলারদের দিয়ে ১০ ওভার বের করে আনতে হতো।”
“কিন্তু ম্যাচ শেষে আসলে এসব বলা সহজ। আরেকটা বোলার থাকলে হয়ত ভালো হতো। তবে থাকলেই যে জিততাম বা সে অসাধারণ বল করত, সেটার নিশ্চয়তা নেই। মুস্তাফিজ-সাকিবের বলই গ্রিপ করেনি। বোলারদের কাজ কঠিন। আমরা আজ শুরুতে আরও ২-১টি উইকেট নিলে ফল অন্যরকম হতে পারত। তখন এই প্রশ্ন আসতো না।”
এই ২৫-৩০ রান বেশি হতে পারত, যদি শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতেন মুশফিক। কিন্তু সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবাল আউট হওয়ার পরের বলেই তুলে মারতে গিয়ে আউট হন মুশফিক। ৭২ বলে ৭৯ রানের ইনিংসটি সেঞ্চুরি পর্যন্ত গেলেই হয়ত প্রত্যাশিত রান পেত বাংলাদেশ।
নিজের দায়টা অস্বীকার করছেন না মুশফিক, তবে শটটি নিয়েও আক্ষেপ নেই।
“আমি জানতাম মারতে হতো। কারণ রান করতে হবে। শট নির্বাচন ঠিকই ছিল, স্রেফ ঠিকমত খেলতে পারিনি। বলটি মারারই ছিল। অবশ্যই আমার উচিত ছিল আরও টেনে নেওয়া। শেষ পর্যন্ত থাকা। পরের দিকে অন্যরাও রান করতে পারেনি সেভাবে।”
তবে নিজেদের ব্যর্থতার পাশাপাশি প্রতিপক্ষকেও কৃতিত্ব দিচ্ছেন মুশফিক। বিশেষ করে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি করা রুটকে।
“উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য বেশিই ভালো ছিল। প্রথম উইকেটের পর আমরা রুট ও হেলসের ওপর চাপ দিতে পারিনি। দুজনই দারুণ ব্যাট করেছে, বিশেষ করে রুট। কোনো ঝুঁকি না নিয়েই অসাধারণ খেলেছে।”
“গত এক বছরে আরও শক্তিশালী বোলিং লাইন আপের বিপক্ষেও ওরা আরও বড় রান তাড়া করেছে। ইংল্যান্ড তো টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট। সেটা ওরা দেখিয়েছে।”
শেষ পর্যন্ত এটিকেই হয়ত মানতে হবে সান্ত্বনা। শ্রেয়তর দলের কাছে হার।