স্টোকসের বলে গ্লাইড করে চার মরলেন তামিম। বেশ খেপে গেলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। শুরু করলেন স্লেজিং। তামিম এসবে কখনোই দমে যাওয়া বা চুপ থাকার পাত্র নন। হাত দিয়ে বারবার ইশারা দিয়ে যেন বলতে চাইলেন, ‘জায়গায় ফিরে যাও বাছা…’।
স্টোকস ফিরে গেলেন গজরাগে গজরাতে। তামিম অবশ্য মনোযোগ হারাননি। পরের দুটি বল খেললেন সাবধানে। ওভারের শেষ বলে একটি সিঙ্গেল। রান নেওয়ার সময় পাশ থেকে আবার কিছু বলতেই থাকলেন স্টোকস। চলল তামিমের মুখও।
ওভার শেষে আম্পায়ারের কাছ থেকে ক্যাপ নিয়ে ফেরার সময় হয়ত ব্যঙ্গ করেই তামিমের কাঁধ চাপড়ে দিলেন স্টোকস। এবার বেশ খেপে গেলেন তামিম। কথা বলার ভঙ্গিই বলে দিচ্ছিল ব্যাপারটা খুব ভালো লাগেনি তার।
তামিমের যেখানে শেষ, বাংলাদেশের সমর্থকদের সেখানে শুরু। ওভার শেষে সীমানায় ফিল্ডিংয়ে গেলেন স্টোকস। ওই অংশটায় গ্যালারি ভরা বাংলাদেশি সমর্থকে। স্টোকসকে আসতে দেখেই দুয়ো শুরু হয়েছিল। কাছাকাছি আসতে গগনবিদরী চিৎকারের চলল দুয়ো।
স্টোকস দু হাত দিয়ে আরও উসকে দিলেন, চালিয়েও যাও। দর্শক তাতে আরও গলা ছেড়ে চিৎকার। স্ট্রাইকে তখন মুশফিক, কিন্তু স্টোকসের জন্য দর্শকের চিৎকার, “তামিম, তামিম..”। এ রকম চলল বেশ কিছুক্ষণ।
মনোসংযোগ ব্যাঘাত ঘটাতে স্টোকসের চেষ্টায় কাজ হয়নি। তখন ৮৪ রানে থাকা তামিম ঠিকই করেছেন সেঞ্চুরি। ফিরেছেন ১২৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে।
ব্যক্তিগত লড়াইয়ে তাই জিতলেন তামিমই। দল জিতলে পূর্ণতা পাবে তামিমের জয়ও!