সব ঠিক থাকলে শ্রীলঙ্কাতেই শুরু হওয়া এক চক্রের সমাপ্তি হচ্ছে এবার। ২০০৭ সালের সফরে লঙ্কাতেই বাংলাদেশের কিপিং গ্লাভস নিজের করে নিয়েছিলেন মুশফিক। এখানেই এবার খেলবেন পুরোপুরি ব্যাটসম্যান হিসেবে।
অনেক দিন ধরেই উইকেটের সামনে যতটা বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিক। উইকেটে পেছনে তার পারফরম্যান্স নিয়ে ভয়টাও কম দিনের নয়। এই দুইয়ের সঙ্গে রয়েছে অধিনায়কত্বের বাড়তি চাপ।
মুশফিক কিপিং করলে এমনিতে ফিল্ডিং সাজানোর কাজটা করেন সহ-অধিনায়ক তামিম ইকবাল। শুক্রবার ডি সয়সা স্টেডিয়ামে প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ফিল্ডিং সাজালেন তিনিই। মিডঅন, মিডঅফ কখনও সিলি মিডঅনে ফিল্ডিং করলেন করলেন অধিনায়ক।
সাম্প্রতিক সময়ে ফিল্ডিংয়ে সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের। টানা চার সিরিজে অসংখ্য ক্যাচ হাতছাড়া করেছেন ফিল্ডাররা। উইকেটে পেছনে অনেক সুযোগ হাতছাড়া করা মুশফিক এবার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামনে থেকে। চতুর্থ ওভারে তাসকিন আহমেদের শর্ট বল পুল করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ক্যাচ দেন ইরোশ সামারাসুরিয়া। মিডঅনে আস্থার সঙ্গে অনেক উঁচুতে উঠে যাওয়া বল দুই হাতে তালুবন্দি করেন অধিনায়ক।
তাসকিনের পরের ওভারেই উইকেটের পেছনে ফিরতে হতে পারতো মুশফিককে। হঠাৎ নীচু হয়ে যাওয়া বল ফেরাতে গিয়ে ডানহাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন লিটন দাস। কিছুক্ষণ চিকিৎসা নেওয়ার পর কিপিং চালিয়ে যাওয়ারই সিদ্ধান্ত নেন এই তরুণ। উইকেটের পেছনে তার তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। হঠাৎ হঠাৎ নীচু যাওয়া উইকেটে খুব একটা ভুল করেননি তিনি।
দ্বিতীয় সেশনে চমৎকার এক ডাইভিং ক্যাচে লঙ্কানদের প্রতিরোধ ভাঙেন লিটন। তাসকিনের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ দেন রোশান সিলভা। ব্যাটের নিচের কানায় লেগে প্রথম স্লিপের দিকে যাওয়া নীচু ক্যাচ ঝাঁপিয়ে গ্লাভসবন্দি করেন লিটন।