আগের দিনই বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ছুঁয়েছেন ৯ হাজার রানের মাইলফলক। ১২৭ রানে অপরাজিত ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় দিনে আউট হয়েছেন ২২০ রানে।
বিসিএলের চতুর্থ রাউন্ডের প্রথম ইনিংসে ৫০১ রান তুলেছে দক্ষিণাঞ্চল। উত্তরাঞ্চল দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ৪ উইকেটে ১০৭ রান তুলে।
তুষারের সঙ্গে শাহরিয়ার নাফিসের জুটি আগের দিনই ছিল ১৫৮ রানের। এদিন সকালে সেটি ছাড়িয়ে যায় দুশ। শততম ম্যাচে শতকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন শাহরিয়ার। তবে আউট হয়ে যান ৭৪ রানে। ভাঙে চতুর্থ উইকেটে ২১৫ রানের জুটি।
এরপর মোহাম্মদ মিঠুন না টিকলেও তুষারের সঙ্গে জমে যায় মোসাদ্দেক হোসেনের জুটি। ষষ্ঠ উইকেটে ৯৬ রানের জুটি গড়েছেন দুজন ওভারপ্রতি প্রায় ৫ রান তুলে। ৫ ছক্কায় ৬৫ বলে ৫৭ করে মোসাদ্দেক ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন নাসির হোসেনকে।
প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে এটিই তার সর্বোচ্চ রান। ২০১৪-১৫ মৌসুমে খুলনা বিভাগের হয়ে রাজশাহীর বিপক্ষে অপরাজিত ২০৩ ছিল আগের সর্বোচ্চ।
লেজের দিক থেকে অবশ্য আর রান পায়নি দক্ষিণাঞ্চল। শেষ ৫ উইকেট পড়েছে ২৫ রানে। আগের দিন উইকেটশূন্য সোহরাওয়ার্দী শুভ শেষ তিনটিসহ নিয়েছেন চার উইকেট।
উত্তরাঞ্চলের জবাবের শুরুটা ছিল ভালো। অভিজ্ঞ ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে তরুণ নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে উদ্বোধনী জুটিতে তুলেছিলেন ৬২ রান। শান্তকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন নাহিদুল ইসলাম।
প্রথম উইকেটই যেন খুলে দেয় দুয়ার। দ্রুত ধরা দেয় আরও তিন উইকেট। শান্তর পর জুনায়েদ ও নাঈমকেও ফেরান অফ স্পিনার নাহিদুল। অর্ধশতক করা ফরহাদকে ফেরান আব্দুর রাজ্জাক। উত্তরাঞ্চলকে তাই ডাকছে ফলো অন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণাঞ্চল: ১৪৪.৪ ওভারে ৫০১ (আগের দিন ২৯২/৩) (তুষার ২২০, শাহরিয়ার ৭৪, মিঠুন ১০, মোসাদ্দেক ৫৭, নাহিদুল ১৩, রাজ্জাক ০, রুবেল ৭, আল আমিন ০*; শফিউল ১/৫৪, শুভাশীষ ০/৭২, সানজামুল ২/১৭৩, নাসির ২/৭৭, নাঈম ০/১, শুভ ৪/১০৫, আরিফুল ০/৮)।
উত্তরাঞ্চল: ২৯ ওভারে ১০৭/৪ (নাজমুল ২৪, ফরহাদ ৫৬, জুনায়েদ ৫, নাঈম ২, নাসির ৫*, ধীমান ৮*; নাহিদুল ৩/৪০, আল আমিন ০/৯, রুবেল ০/১৭, রাজ্জাক ১/৩৬)।