দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে খেলছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ২০১৫ সালের অগাস্টের পর এই প্রথম বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচ খেলছেন জাতীয় দলের এই তরুণ বাঁহাতি পেসার।
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম দিনের খেলা শেষে দক্ষিণাঞ্চলের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩৭৬ রান। জিয়া ৫৫ ও সোহাগ গাজী ৪২ রানে ব্যাট করছেন। অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়েছেন এই দুই জনে।
শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ফজলে মাহমুদকে হারায় দক্ষিণাঞ্চল। এনামুলের সঙ্গে ৬৬ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান শাহরিয়ার নাফীস। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকেই ফেরান পেসার ইবাদত।
তৃতীয় উইকেটে তুষার ইমরানের সঙ্গে ১০৮ রানের আরেকটি ভালো জুটি গড়েন এনামুল। ১১৬ বলে ১২টি চার ও দুটি ছক্কায় ৮৯ রান করা এই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানকে ফেরান শাহানুর রহমান।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে শেষ সাত ইনিংসে এটি এনামুলের দ্বিতীয় অর্ধশতক। এই সময়ে দুটি শতকও পেয়েছেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। এরপর বেশিক্ষণ টিকেননি তুষার ইমরান। ১২৩ বলে ৮টি চারে ৬২ রান করে ফিরেন এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান।
মোহাম্মদ মিঠুন ও মোসাদ্দেক হোসেন ফিরেন থিতু হয়ে। নিজেদের মধ্যে ৫২ রানের জুটি গড়া এই দুই ব্যাটসম্যানের কেউই অর্ধশতক পর্যন্ত যেতে পারেননি। ৫৬ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন মিঠুন, ৩৯ রান করে ফিরেন মোসাদ্দেক।
তিনশ’ রানের আগেই প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানকে হারানো দক্ষিণাঞ্চলকে বড় সংগ্রহের পথে রেখেছেন জিয়া ও সোহাগ। ওভার প্রতি ৫ করে রান সংগ্রহ করেছেন এই দুই ব্যাটসম্যান।
৮৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে পূর্বাঞ্চলের সেরা বোলার ইবাদত। এই প্রথম কোনো ইনিংসে দুইয়ের বেশি উইকেট পেলেন এই তরুণ পেসার।
ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে জাতীয় দলের সঙ্গে ভারত সফরে যাওয়া আবু জায়েদের অভাব এদিন পুরোপুরি অনুভব করেছে সিলেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে টানা চার ম্যাচে ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়া এই পেসারের জায়গায় অভিষেক হওয়া খালেদ আহমেদ ৭৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ৩৭৬/৬ (শাহরিয়ার ২৭, মাহমুদ ০, এনামুল ৮৯, তুষার ৬২, মিঠুন ৪৭, মোসাদ্দেক ৩৯, জিয়া ৫৫*, সোহাগ ৪২*; ইবাদত ৩/৮৫, খালেদ ০/৭৬, হাসান ০/৬৮, সাকলাইন ১/৭৬, শাহানুর ১/৪৮, তাসামুল ১/১৩)