‘মিরপুরের চেয়ে অনেক ভালো ছিল চট্টগ্রামের উইকেট’

উইকেট পেয়ে তাইজুল ইসলাম নিজেই বিব্রত। ব্যাটসম্যান হাসানুজ্জামান অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন উইকেটে। বলটি ছিল শর্ট, হাসানুজ্জামান চেয়েছিলেন কাট করতে। কিন্তু বল পিচ করে উঠলোই না, ব্যাটসম্যানের প্রায় গোড়ালি ছুঁয়ে লাগল স্টাম্পে! শুধু এই বলটিই নয়, শুক্রবার দুটি ম্যাচে অনেক বলই এ রকম ছিল গোড়ালি ছোঁয়া, ছিল হাঁটুর বেশ নীচে। অথচ ১০ দিন বিরতির পর সেদিন ছিল মিরপুরে প্রথম ম্যাচ!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2016, 07:17 AM
Updated : 28 Nov 2016, 07:17 AM

পরের কদিনে বল অতটা নীচু আর হয়নি। তবে বেশিরভাগ সময়ই উইকেট ছিল মন্থর। বল ব্যাটে আসছে থেমে। শট খেলা হচ্ছে কঠিন। হচ্ছে না তাই বড় রানও।

অথচ চট্টগ্রাম পর্বে রান উঠেছে দারুণ। এক দিনে একই উইকেট ১৮০ রানের বেশি তাড়া করে জিতেছে দুটি দল। ১৭০-১৮০ রান হয়েছে বেশ কটি ম্যাচেই। কিন্তু ঢাকায় ফিরেই বেশিরভাগ ম্যাচে শট খেলতে ধুঁকছে ব্যাটসম্যানরা।

রোববারই যেমন উইকেট ছিল মন্থর। প্রথম ম্যাচে বরিশাল বুলসের ১৩২ রান তাড়া করে ঢাকা ডায়নামাইটস জিতেছে শেষ ওভারে। পরের ম্যচে রংপুর রাইডার্স কোনো রকমে করতে পারে ১২৪। চিটাগং ভাইকিংস ১৬ ওভারে জিতেছে, তবে সেটা তামিম ইকবাল ও ক্রিস গেইল মানের দুজন ব্যাটসম্যানের কারণেই। উইকেট ছিল কঠিন।

ম্যাচ জিতলেও তাই চিটাগং কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ক্ষোভ জানালেন উইকেট নিয়ে।

“আমার কাছে মনে হয় চট্টগ্রামের উইকেট ঢাকার চেয়ে অনেক ভালো ছিল। চট্টগ্রামের উইকেটে আমরা কিন্তু ১৮০ রানও তাড়া করেছি। কিন্তু এখানে মনে হচ্ছে ১২৫ রানও অনেক কঠিন। আমার মনে হয়, টি-টোয়েন্টির জন্য এ রকম উইকেট একটু কঠিন। প্লেয়াররা শট খেলতে একটু দ্বিধায় থাকে। আমার মনে হয় আরেকটু ভালো উইকেট হলে দর্শকদের জন্য ভালো, খেলোয়াড়দের জন্যও ভালো।"

১০ দিনের বিরতি ও বিশ্রাম পাওয়ার মিরপুরের উইকেটের এই হাল দেখে অবাক চিটাগং কোচ।

“আমি আসলে পুরোপুরিই অবাক হয়েছি। ঢাকায় আসার পর দেখি প্রথম দিনই বল অনেক নীচু হচ্ছে। উইকেটটা প্রায় ১০ দিন বিশ্রাম পেয়েছে, এখানে তাই ভালো উইকেট আমরা আশা করতেই পারি। পাঁচ-ছয়দিন খেলা হওয়ার পর উইকেট খারাপ হলে তবু কারণ থাকত। কিন্তু ১০ দিন পর এসেও যদি উইকেট বাজে হয়, এটা তো অবশ্যই খারাপ লাগবে।"