সেটি শেষ পর্যন্ত সত্যি হয়েছে। ৭ ম্যাচে ৪৮.১৬ গড় ও ১৪৬.৮২ স্ট্রাইক রেটে ২৮৯ রান করা বাঁহাতি ওপেনার জিতেছেন ম্যান অব দা টুর্নামেন্টের পুরস্কার। রোববার নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপা জেতার পর, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও সংবাদ সম্মেলনে ওয়ার্নারকে প্রশংসায় ভাসান ফিঞ্চ।
“ওয়ার্নার টুর্নামেন্ট সেরা হতে পারে, এটা আপনি আশা করেননি? আমি অবশ্যই করেছি। এক বর্ণও মিথ্যে বলছি না, কয়েক মাস আগে জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে ফোন করে বলেছিলাম, ‘ডেভির ব্যাপারে চিন্তা করো না, সে ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট হবে।”
“আমার বিশ্বাস হয় না, কিছু মানুষ কয়েক সপ্তাহ আগে ওয়ার্নারের শেষ দেখে ফেলেছিল। এটা যেন অনেকটা ভাল্লুককে খোঁচানোর মত ব্যাপার।”
অস্ট্রেলিয়ার শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে ওয়ার্নারের। তবে অ্যাডাম জ্যাম্পার অবদানও কম নয়। এই লেগ স্পিনার ৭ ম্যাচে ১২.০৭ গড়ে নেন ১৩ উইকেট। ওভার প্রতি দেন কেবল ৫.৮১ রান। ফিঞ্চ মনে করেন, টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জ্যাম্পারই পাওয়া উচিত ছিল। তবে পুরস্কার না পেলেও ওয়ার্নারকে নিয়ে মনোভাব একই থাকত অধিনায়কের।
“ব্যাক্তিগতভাবে ভেবেছিলাম, টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার অ্যাডাম জ্যাম্পার পাওয়া উচিত। তবে ওয়ার্নার অসাধারণ একজন খেলোয়াড়। সব সময়ের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। একজন লড়িয়ে। সে এমন একজন যখন, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় তখন তার সেরাটা বের হয়ে আসে। টুর্নামেন্টে তার সবশেষ কয়েকটি ইনিংস ছিল অসাধারণ।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অপরাজিত ৮৯ রান করার পর সেমি-ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ার্নার করেন ৪৯ রান। উদ্বোধনী জুটিতে ফিঞ্চের এই সঙ্গী নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটে জেতা ফাইনালে খেলেন ৫৩ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস।