অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের মতে, বিশ্বকাপের আগে তাদের প্রস্তুতি যতটা খারাপ মনে হয়েছে আসলে তেমন ছিল না। বরং বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলার সুফল পাচ্ছে দল, অভিমত ল্যাঙ্গারের।
ইংল্যান্ড, ভারত ও নিউ জিল্যান্ডের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি হেরে বাংলাদেশে আসে অস্ট্রেলিয়া। গত অগাস্টের ওই সিরিজে স্বাগতিকদের সামনে স্রেফ মুখ থুবড়ে পড়ে সফরকারীরা। পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজ হারে ৪-১ ব্যবধানে, যদিও ওই সফরের অস্ট্রেলিয়া দলে ডেভিড ওয়ার্নার-স্টিভ স্মিথ-অ্যারন ফিঞ্চদের মতো অনেক প্রতিষ্ঠিত তারকা ছিলেন না।
ওই সিরিজের আগে ২০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো হার ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। এমনকি কোনো সংস্করণেই বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ হারের অভিজ্ঞতা ছিল না তাদের।
অস্ট্রেলিয়াকে মূলত ভুগিয়েছে মিরপুরের মন্থর ও টার্নিং উইকেট। তবে কঠিন এই কন্ডিশনে হারলেও দলের শক্তি-দুর্বলতা সম্পর্কে ভালোই ধারনা নিতে পারে তারা। মূল ব্যাটসম্যানদের অনুপস্থিতিতে পরখ করে নেয় দলের গভীরতা।
বিশ্বকাপে গিয়েই ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু, এরপর কেবল হেরেছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সেমি-ফাইনালে বৃহস্পতিবার ফেভারিট দলের একটি পাকিস্তানকে হারিয়ে জায়গা করে নিয়েছে ফাইনালে।
“(বিশ্বকাপের আগের কয়েকটি সিরিজে) মাঠে যে ধরনের পারফর্ম করতে চেয়েছিলাম, তেমনটা না হওয়ার কারণ ছিল। তবে দলের প্রতি ও প্রস্তুতিতে আমাদের অনেক বিশ্বাস ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ সফর...আমাদের দলের গভীরতা (যাচাই) এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের জন্য দারুণ কাজে লাগে।”
“অবশ্যই, হারার চেয়ে জয়ের আনন্দ বেশি। তবে বড় পরিসরের বিবেচনায় দেখলে এই বিশ্বকাপে ভালো করাটা আসল কথা। এখন পর্যন্ত এখানে আমাদের সবকিছুই ঠিকঠাক হচ্ছে।”
২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়েই পঞ্চম শিরোপা জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। আইসিসি টুর্নামেন্টে দারুণ ধারাবাহিক কিউইরা পরের আসরেও খেলে ফাইনাল। যদিও শেষ পর্যন্ত ঘরে তুলতে পারেনি শিরোপা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মূল ম্যাচের পর সুপার ওভারও টাই হওয়ায় হেরেছিল বাউন্ডারি ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে।
এবার সেই ইংল্যান্ডকেই হারিয়ে তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবার জায়গা করে নিয়েছে ফাইনালে। মাঝে গত জুনে ভারতকে হারিয়ে তারা জিতেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। দারুণ সমৃদ্ধ কেন উইলিয়ামসনের দলকে ভালোই সমীহ করছেন ল্যাঙ্গার।
“আমার মতে, গত কয়েক বছর ধরে নিউ জিল্যান্ড যেভাবে খেলছে তা অসাধারণ। তাদের দলে দারুণ কয়েকজন ক্রিকেটার রয়েছে। তারা নিজেদের দায়িত্বটা ঠিকঠাক পালন করছে। তাই নিউ জিল্যান্ডকে হারাতে পুরো টুর্নামেন্টের মতো আমাদের সেরাটাই দিতে হবে।”