সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে ১০ উইকেটে হারায় পাকিস্তান। বিশ্বমঞ্চে ১৩ বারের দেখায় তারা পায় বহুকাঙ্ক্ষিত জয়। এরপর এগিয়ে গেছে তারা অপ্রতিরোধ্য হয়ে। সব ম্যাচ জিতে গ্রুপ সেরা হয়ে জায়গা করে নিয়েছে সেমি-ফাইনালে।
শেষ চারের লড়াইয়ে পাকিস্তানের সামনে এবার অস্ট্রেলিয়া চ্যালেঞ্জ। দুবাইয়ে বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হবে দুই দল। তাসমান সাগর পাড়ের দলটির বিপক্ষে বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে এখনও কোনো ম্যাচ জেতেনি এশিয়ার দলটি। তবে পরীক্ষাটা কঠিন হলেও দলকে নিয়ে অবশ্য বেশ আত্মবিশ্বাসী রমিজ।
দল যত তারকাবহুলই হোক, পাকিস্তান ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা দেখা গেছে কম সময়ই। বরাবরই অনুনমেয় দল হিসেবে তারা পরিচিত বিশ্বক্রিকেটে। বরাবরের সেই ধারা বদলে দিয়ে এই বিশ্বকাপে পাকিস্তান আশ্চর্যরকম ধারাবাহিক।
পিসিবির একটি ভিডিও বার্তায় পাকিস্তানের বোর্ড প্রধান তুলে ধরলেন এই পাকিস্তানকে দেখে তার মুগ্ধতার কথা।
“পারফরম্যান্স এখনও পর্যন্ত অসাধারণ। আমাদের সমস্যা ছিল ধারাবাহিকতা। এক ম্যাচ জিতলে দুই ম্যাচ হেরে যাই। দুটি জিতলে তিনটি হেরে যাই। সেই অধারাবাহিক দলের তকমা সরিয়ে ফেলা, সেটিও বিশ্বকাপের মতো জায়গায় গিয়ে, এই দল এটা অনেক বড় সাফল্য দেখিয়েছে।”
অধিনায়ক বাবর আজমের প্রতি খোলামেলা বার্তাও পাঠান পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক। বলেন, নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখলে এই দলকে হারানো অসম্ভবের কাছাকাছি।
“বাবর আজমের জন্য বার্তা হলো, কোনো বাড়তি ভাবনার দরকার নেই। যেভাবে খেলা হচ্ছে, দারুণ এক কম্বিনেশন হয়েছে, সেটিই স্রেফ আরেকটু শানিত করতে হবে। যত বড় মঞ্চ, তত বড় সুযোগ নায়ক হওয়ার। যত বড় ম্যাচ, তত বড় সুযোগ দুনিয়াকে দেখিয়ে দেওয়ার যে আমরা কত ভালো দল। নিজেকে এটা বলুন যে, ‘আমরা হারতে পারি না।”
“আমি নিশ্চিত, দলে এই অনুভূতি জন্ম নিয়েছে যে এই দলকে কেউ হারাতে পারবে না। এখন সামনে অস্ট্রেলিয়া থাকুক, পরে ফাইনালে যে দলই আসুক, ভয় না পেয়ে, কোনো কিছুর ভাবনা না রেখে নিজেদের সেরাটা খেলতে হবে। আপনি বিশ্বমানের একজন, গ্রেট অধিনায়ক, গ্রেট ব্যাটসম্যান। নিজেকে বোঝাতে হবে যে আপনি হারতেই পারেন না। ক্রিকেটার হিসেবে আমি বলছি, এই দলকে হারানো প্রায় অসম্ভব।”