দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম হ্যাটট্রিক রাবাদার

নিজের প্রথম তিন ওভারে রান দিলেন অকাতরে। সেই কাগিসো রাবাদাই কোটার শেষ ওভার করতে এসে ঘুরে দাঁড়ালেন দারুণভাবে। দুর্দান্ত বোলিংয়ে করলেন হ্যাটট্রিক। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম বোলার হিসেবে গড়লেন এই কীর্তি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Nov 2021, 06:18 PM
Updated : 6 Nov 2021, 07:24 PM

শারজাহতে শনিবার ইংল্যান্ডের রান তাড়ায় ইনিংসের শেষ ওভারে হ্যাটট্রিক করেন রাবাদা। ওভারের প্রথম তিন বলে এই পেসারের শিকার ক্রিস ওকস, ওয়েন মর্গ্যান ও ক্রিস জর্ডান।

রাবাদার শেষের কার্যকর বোলিংয়ে রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে টি-টোয়েন্টির এক নম্বর দলকে ১০ রানে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯০ রানের লক্ষ্যে শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। তিন ওভারে ৪৫ রান দেওয়া রাবাদার ওপরই আস্থা রাখেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। হ্যাটট্রিক করে ওই ওভারে কেবল ৩ রান দেন এই পেসার।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম, সব মিলিয়ে চতুর্থ বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করলেন রাবাদা। প্রথমটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার ব্রেট লির, ২০০৭ সালে বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই বাংলাদেশের বিপক্ষে এই স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি।

বাকি তিন হ্যাটট্রিক চলতি আসরেই। প্রথমটি নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্পারের। তিনি অবশ্য এগিয়ে যান আরেক ধাপ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে করেন ‘ডাবল হ্যাটট্রিক’, টানা চার বলে নেন চার উইকেট। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই এই কীর্তি গড়েন শ্রীলঙ্কার ভানিন্দু হাসারাঙ্গা। এবার এই তালিকায় নাম উঠলো রাবাদারও।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এদিন শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই ওকসকে ফিরিয়ে দেন রাবাদা। মিডউইকেটে দারুণ ক্যাচ ধরেন আনরিক নরকিয়া। পরের বলটি ছিল স্লোয়ার, মর্গ্যান তুলে দেন ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগের ফিল্ডারের হাতে। আরেকটি স্লোয়ারে জর্ডান ক্যাচ দেন লং-অফে।

ওয়ানডেতেও হ্যাটট্রিক আছে রাবাদার। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে মিরপুরে তিনি পরপর তিন বলে ফেরান তামিম ইকবাল, লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহকে।

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি, এই দুই সংস্করণেই রাবাদা ছাড়া হ্যাটট্রিক আছে হাসারাঙ্গা, লি ও লাসিথ মালিঙ্গার। হ্যাটট্রিক শিকারিদের মধ্যে আবার মালিঙ্গা সবার চেয়ে অনেক ওপরে। ওয়ানডেতে তার হ্যাটট্রিক তিনটি, টি-টোয়েন্টিতে দুটি।