বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশ ছিটকে পড়ার পর থেকেই বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা হচ্ছে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের। সেখানেই এসব নিয়ে কথা হয়েছে। বোর্ড সভাপতি শনিবার দেশের বাইরে গেছেন। তিনি ফেরার পর এসব চূড়ান্ত হবে।
বোর্ডের দীর্ঘদিনের পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দলের ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলার উদ্যোগ নিচ্ছে বোর্ড।
“মূল কথা হচ্ছে, দলটাকে পথে ফেরাতে হবে। খারাপ করেছে বলে তো ফেলে দেওয়া যাবে না, দলটা আমাদেরই। একটা বিশ্বকাপ দিয়েই তো সব বিচার করা যাবে না। একটা টুর্নামেন্টেই সব শেষ হয়ে যাচ্ছে না। অবশ্যই পারফরম্যান্স খুব বাজে হয়ে গেছে এবং সেটার কারণ খোঁজা উচিত।”
“আমাদের একটা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির মতো করার আলোচনা হয়েছে। তারা ক্রিকেটার, টিম ম্যানেজমেন্ট, নির্বাচক কমিটি, সাংবাদিক, এমনকি যারা খেলা দেখতে গেছেন, তাদের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন। কিছুদিনের মধ্যেই এটা শুরু করার আলোচনা হয়েছে।”
বিসিবি পরিচালক, সাবেক অধিনায়ক ও নানা ভূমিকায় বাংলাদেশ ক্রিকেটে থাকা খালেদ মাহমুদকে দলে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করলেন জালাল ইউনুস।
“সুজনকে টিম ম্যানেজমেন্টে নিয়ে আসা হচ্ছে টিম ডিরেক্টর হিসেবে। তার ভূমিকা এখনও পুরোপুরি ঠিক হয়নি। তবে একাদশ গড়ায় পরামর্শ দেওয়া, কৌশলে কিছুটা ভূমিকা রাখা, ছেলেদের দেখভাল করা, এসব করবে সে। আপাতত এই সিরিজের জন্য রাখা হচ্ছে। তবে দীর্ঘমেয়াদেও ভাবা হচ্ছে। বোর্ড সভাপতি দেশের বাইরে গেছেন, ফেরার পর সব চূড়ান্ত করা হবে।”
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুত উন্নতি ও আগামী বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের তৈরি করার ভাবনায় শুধু এই সংস্করণের জন্য আলাদা বিশেষজ্ঞ কোচ আনার ভাবনা বিসিবির আছে বলে জানান জালাল ইউনুস।
“বিশ্বকাপের আর এক বছরও নেই। তাই কোনো পাওয়ার হিটিং কোচ বা শুধু এই সংস্করণে কোনো বিশেষজ্ঞ কোচ আনা যায় কিনা, সেই আলোচনা চলছে। টি-টোয়েন্টি নিয়ে এক্সক্লুসিভলি কাজ করার পরিকল্পনা চলছে।”
বিশ্বকাপে দলের প্রায় সব ক্রিকেটার কম-বেশি ব্যর্থ হলেও দলের খোলনলচে পাল্টে ফেলতে চায় না বোর্ড। তবে কিছু পরিবর্তন যে হবে, সেটি মোটামুটি পরিষ্কার করে দিলেন মিডিয়া কমিটির প্রধান।
“দলে কিছু নতুন ক্রিকেটার নেওয়া হচ্ছে পাকিস্তান সিরিজের জন্য। সব ওলট-পালট করা যাবে না। তবে নতুনদের অবশ্যই দেখা যাবে।”
আগামী ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশে আসার কথা পাকিস্তান দলের। ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ২৬ নভেম্বর শুরু দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।