অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে নিশামের ‘প্রথম’

মন্থর উইকেটে শেষ দিকে ঝড় তুলে দলকে দেড়শ ছাড়ানো সংগ্রহ এনে দিতে রাখলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পরে হাত ঘুরিয়ে এনে দিলেন গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্রেক থ্রু। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে জেমস নিশাম জিতে নিলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিউ জিল্যান্ডের অলরাউন্ডার এই স্বাদ পেলেন প্রথমবার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Nov 2021, 03:32 PM
Updated : 5 Nov 2021, 03:32 PM

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুক্রবার নামিবিয়াকে ৫২ রানে হারিয়ে সেমি-ফাইনালের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেছে নিউ জিল্যান্ড। ১৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নামিবিয়া ৭ উইকেটে করতে পারে ১১১।

১৬ ওভার শেষেও নিউ জিল্যান্ডের রান ছিল ৪ উইকেটে মাত্র ৯৬। এরপর তাণ্ডব চালান নিশাম ও গ্লেন ফিলিপস। তাতে শেষ চার ওভারে আসে ৬৭ রান! চলতি আসরে ইনিংসের শেষ চার ওভারে যা কোনো দলের সর্বোচ্চ। কিউইরা ছাড়িয়ে গেল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভারতের ৬৫ রান।

ওই সময়ের ভাবনা জানালেন নিশাম।

“আমরা যা করি, সেটাই করার চেষ্টা করেছি মাত্র। দলকে একটি ভালো সংগ্রহ এনে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বল যতটা সম্ভব ব্যাটে খেলার চেষ্টা করেছি। আমরা জানতাম, ১৫০ রানের বেশি যে কোনো স্কোর ভালো সংগ্রহ হবে।”

২১ বলে ৩ ছক্কা ও একটি চারে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন ফিলিপস। ২৩ বলে ২ ছক্কা ও একটি চারে ৩৫ রানে নিশাম। ১৮তম ওভারের শেষ দুই বলে নিশাম ছক্কা-চার মারেন ডেভিড ভিসাকে। আরেকটি ছক্কা হাঁকান জেজে স্মিটকে।

পরে বল হাতে কেবল একটি ওভারই করেন তিনি। ৬ রান দিয়ে উইকেট নেন একটি। অষ্টম ওভারে মাইকেল ফন লিনগেনকে বোল্ড করে ভাঙেন ৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটি। নামিবিয়ার পথ হারানোরও শুরু সেখানেই। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যের ধারেকাছেও যেতে পারেনি তারা।

এবারের আসরে এর আগে দুই ম্যাচে ব্যাটিং করে একটিতে নিশাম আউট হয়েছিলেন ১ রানে। আরেকটিতে অপরাজিত ছিলেন ১০ রানে। এক ম্যাচে বোলিং করে ছিল না উইকেট। এবার সেই স্বাদও পেলেন তিনি। বল হাতে অবদান রাখতে পেরেও খুশি।

“আমরা পাঁচ জন মূল বোলার নিয়ে খেলছি, তাই টুর্নামেন্টে আমার বোলিং খুব একটা প্রয়োজন হয়নি। তবে সুযোগ পেয়ে অবদান রাখতে পেরে আমি খুশি।”

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৩৩তম ম্যাচে এসে প্রথমবার ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেলেন ৩১ বছর বয়সী এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।