পাকিস্তান ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর ভারত দেখল জয়ের মুখ। দুবাইয়ে বুধবার ২১০ রানের পুঁজি নিয়ে আফগানিস্তানকে ৬৬ রানে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে খেলার আশা জিইয়ে রাখল বিরাট কোহলির দল।
দলকে চলতি আসরের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ এনে দেওয়ার পথে রোহিত খেলেন ৪৭ বলে ৭৪ রানের ইনিংস। ৩টি ছক্কার সঙ্গে মারেন ৮টি চার। এই পারফরম্যান্স তাকে এনে দেয় ম্যাচ সেরার স্বীকৃতি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই অর্জন তার হাতে ধরা দিল ১১ বার।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ইনিংস শুরু করতে নেমে রানের খাতা খুলতে না পারা রোহিতকে কিউইদের বিপক্ষে নামানো হয় তিনে। ওই ম্যাচেও ব্যর্থ হন তিনি। করেন কেবল ১৪ রান।
আফগানদের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে ফিরে শুরু থেকেই দ্রুত রান তোলায় মনোযোগ দেন রোহিত। প্রথম ওভারে মোহাম্মদ নবিকে চার মেরে যার শুরু। পরে শরাফুদ্দিন আশরাফকে হাঁকান আরেকটি।
ঝড় বইয়ে দেন তিনি নাভিন উল হকের ওপর; চার বলের মধ্যে এই পেসারকে মারেন দুটি চার, লং অফ দিয়ে ওড়ান ছক্কায়। পাওয়ার প্লেতে তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ৩৪ রান। নাভিনকেই পরে বাউন্ডারি মেরে ৩৭ বলে পূর্ণ করেন ফিফটি।
চতুর্দশ ওভারে রোহিতের তোপের মুখে পড়েন রশিদ খান। এই লেগ স্পিনারকে মারেন টানা দুই ছক্কা। প্রথমটা বেরিয়ে এসে ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিয়ে। পরেরটি স্লগ সুইপে স্কয়ার লেগ দিয়ে।
অন্য প্রান্তে রাহুলও আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৩৫ বলে ফিফটি তুলে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন। এই দুইজনের উদ্বোধনী জুটি যখন শতরান ছাড়িয়ে দেড়শতে চোখ রাখে, তখনই বিদায় নেন রোহিত।
পেসার করিম জানাতের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ দেন ৭৪ রান করে। ভাঙে রাহুলের সঙ্গে তার ১৪০ রানের জুটি। রাহুল পরে আউট হন ৪৮ বলে ৬৯ রান করে।
শক্ত ভিত পেয়ে শেষ দিকে ক্যামিও ইনিংসে দলকে দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ এনে দেন হার্দিক পান্ডিয়া ও রিশাভ পান্ত।
পরে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আফগানদের দেড়শর আগেই থামিয়ে দিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত।