টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
ওয়ানডেতে দ্রুততম একশ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়া নেপালের এই লেগ স্পিনার টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় দ্রুততম।
Published : 17 Jun 2024, 07:23 AM
দুর্দান্ত দ্রুত গুগলি, বিভ্রান্ত দুই ব্যাটসম্যান বোল্ড আর দারুণ একটি মাইফলক। ধর্ষণ মামলার খাড়ায় যার বিশ্বকাপে খেলার কথাই ছিল না, মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে ক্যারিবিয়ায় আসা সেই সান্দিপ লামিছানে উপহার দিলেন চমৎকার বোলিং। নেপালের লেগ স্পিনার পূর্ণ করলেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট। গতিময়তায় যেখানে তার ওপরে আছেন কেবল রাশিদ খান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে বাংলাদেশ সময় সোমবার সকালে সেন্ট ভিনসেন্টে দুটি উইকেট নিয়ে এই সংস্করণে উইকেটের সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন লামিছানে।
৫৪ ম্যাচেই ১০০ উইকেট হয়ে গেল তার। দ্রুততম একশ উইকেটের রেকর্ডে রাশিদকে ছুঁতে পারলেন না কেবল এক ম্যাচের জন্য। ৫৩ ম্যাচে ১০০ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড আফগান লেগ স্পিনারের।
রেকর্ডের তিন নম্বরেও আছেন একজন লেগ স্পিনার। ৬৩ ইনিংস লেগেছে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার।
টি-টোয়েন্টিতে না পারলেও ওয়ানডেতে এই রেকর্ডে ঠিকই রাশিদকে পেছনে ফেলেছিলেন লামিছানে। ৪২ ম্যচে ১০০ ছুঁয়ে ওয়ানডে উইকেটের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান তিনিই। রাশিদর সেখানে লেগেছিল ৪৪ ম্যাচ।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় লামিছানের বিশ্বকাপ শুরু হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ পর্ব থেকেই। আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দারুণ বোলিং করলেও উইকেট পাননি (৪-০-১৮-০)। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি শুরু করেন তিনি ৯৮ উইকেট নিয়ে।
প্রথম দুই ওভারে ১৪ রান দিয়ে তিনি ছিলেন উইকেটশূন্য। নিজের তৃতীয় ওভারে গুগলিতে তানজিম হাসানকে বোল্ড করে একশর এক ধাপ কাছে চলে যান তিনি। পরের ওভারে আরেকটি গুগলিতে জাকের আলিকে বোল্ড করে পৌঁছে যান কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায়। শেষ ওভারে কোনো রানও তিনি দেননি। চার ওভারে ১৭ রান দিয়ে তার প্রাপ্তি দুটি উইকেট।
লামিছানের অন্য বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্সে বাংলাদেশকে ১০৬ রানে গুটিয়ে দেয় নেপাল। ৮৮ রানে ৯ উইকেট হারানো বাংলাদেশ একশ পার হতে পারে শেষ জুটির সৌজন্যে।