ফেব্রুয়ারির সেরার লড়াইয়ে ব্রুক-জাদেজা-মোটি

‘আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ’-এর মেয়েদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন লরা উলভার্ট, ন্যাট সিভার ও অ্যাশ গার্ডনার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 March 2023, 09:48 AM
Updated : 7 March 2023, 09:48 AM

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ সেরা হওয়া হ্যারি ব্রুকের সামনে আরেকটি অর্জনের হাতছানি। মাসজুড়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পুরুষ ক্রিকেটে ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ’-এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। ফেব্রুয়ারির সেরার লড়াইয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের গুডাকেশ মোটি। 

গত মাসের সেরা বাছাইয়ে মনোনীতদের নাম মঙ্গলবার প্রকাশ করে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা। মেয়েদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার লরা উলভার্ট, ইংল্যান্ডের ন্যাট সিভার ও অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশ গার্ডনার। 

হ্যারি ব্রুক 

ফেব্রুয়ারি মাসে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা দুই টেস্টের সিরিজের দুর্দান্ত খেলেন ব্রুক। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে গোলাপি বলের টেস্টে দুই ইনিংসেই ফিফটি করেন মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যান। ইংল্যান্ডের ২৬৭ রানে জেতা ওই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন তিনি। 

দ্বিতীয় টেস্টে তো নিজেকে ছাড়িয়ে যান ব্রুক। ওয়েলিংটনে ক্যারিয়ার সেরা ১৮৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেষদিনের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ম্যাচটি ১ রানে জিতে ইতিহাস গড়ে নিউ জিল্যান্ড। 

পাকিস্তানে টেস্ট সিরিজে অসাধারণ পারফরম্যান্সের কারণে গত ডিসেম্বরের সেরা হয়েছিলেন ব্রুক। ওই সফরে তিন টেস্টেই সেঞ্চুরি উপহার দেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। 

রবীন্দ্র জাদেজা 

চলমান বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ দিয়ে চোট কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন জাদেজা। প্রথম দুই টেস্টেই ব্যাটে-বলে চমৎকার পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন তিনি। যার সুবাদে মাস সেরার লড়াইয়েও জায়গা হলো তার।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নাগপুর টেস্টে একমাত্র ইনিংসে ৭০ রান করেন জাদেজা। বাঁহাতি স্পিনে দুই ইনিংসে নেন মোট ৭ উইকেট। দিল্লিতে বল হাতে ছিলেন আরও ভয়ঙ্কর। ক্যারিয়ারে সেরা বোলিংয়ে ইনিংসে নেন ৭ উইকেট। ওই ম্যাচে তার শিকার ছিল মোট ১০টি।

গুডাকেশ মোটি

জিম্বাবুয়ে সফরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দেন মোটি। ১-০ ব্যবধানে জেতা দুই টেস্টের সিরিজে বাঁহাতি এই স্পিনারের শিকার ১৯ উইকেট। সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেন তিনিই।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে তার শিকার মোট ৬ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে ২৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ছিলেন আরও কার্যকর। দুই ইনিংসেই ধরেন পাঁচটির বেশি শিকার। ম্যাচে তার মোট উইকেট ছিল ১৩টি। যা তাকে এনে দেয় ম্যাচ সেরার পুরস্কার। 

লরা উলভার্ট

মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়ে মাস সেরার লড়াইয়ে জায়গা করে নিয়েছেন উলভার্ট। তিন ফিফটিতে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ২৩০ রান করেন তিনি। 

দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথমবার ফাইনালে তোলার পেছনে বড় অবদান ছিল উলভার্টের। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও জ্বলে ওঠে তার ব্যাট। খেলেন ৬১ রানের ইনিংস। কিন্তু বাকিদের ব্যর্থতায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রান তাড়ায় পেরে ওঠেনি স্বাগতিকরা। 

ন্যাট সিভার 

দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে বোলিংয়ে তেমন কিছু করতে না পারলেও ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়ান সিভার। দুই ফিফটিতে ৭২ গড়ে টুর্নামেন্টে করেন ২১৬ রান। আরও দুটি ইনিংসে করেন তিনি ৪০ করে রান। 

তার ব্যাটিংয়ের নজরকাড়া বিষয় ছিল স্ট্রাইক রেট। ডানহাতি এই ব্যাটার রান তোলেন ১৪১.১৭ স্ট্রাইক রেটে। 

মিডিয়াম পেসে টুর্নামেন্টে কেবল একটি উইকেটই পান সিভার, পাকিস্তানের বিপক্ষে। অবশ্য খুব বেশি খরুচে ছিলেন না তিনি। 

অ্যাশ গার্ডনার 

অস্ট্রেলিয়ার ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের পথে বড় ভূমিকা রাখেন গার্ডনার। উজ্জ্বল অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জেতেন তিনি। 

ব্যাট হাতে ৩৬.৬৬ গড়ে ১১০ রান করেন গার্ডনার। আর অফ স্পিন বোলিংয়ে নেন মোট ১০ উইকেট। বল হাতে তার সেরা পারফরম্যান্স ছিল নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ১২ রানে ৫ উইকেট। সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে ৩১ ও ২৯ রানের কার্যকর দুটি ইনিংস খেলেন তিনি। 

আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা দুই ক্রিকেটার। ভোটিং একাডেমিতে আছেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে। 

সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ, সমর্থকদের ভোট বাকি ১০ ভাগ।