ভারতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি বাংলাদেশ।
Published : 06 Oct 2024, 06:53 PM
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ১২৭
ভারত: ১১.৫ ওভারে ১৩২/৩
১২ ওভারে জিতে গেল ভারত
তাসকিন আহমেদের পরপর তিন বলে দুই চারের পর ছক্কা মারলেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৪৯ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেল ভারত। ৩ উইকেটের জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
গোয়ালিয়রের শ্রীমান মাধাবরাও সিন্দিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের করা ১২৭ রান টপকে যেতে মাত্র ১১.৫ ওভার লাগল ভারতের। বাংলাদেশের বিপক্ষে এর চেয়ে দ্রুত আর একবার জিতেছে তারা।
গত বছর এশিয়ান গেমসে দ্বিতীয় সারির দুই দলের লড়াইয়ে ৯.২ ওভারে ৯৭ রানের লক্ষ্য ছুঁয়েছিল ভারত।
একশ বা তার বেশি রানের লক্ষ্যে এটিই ভারতের সবচেয়ে বেশি বল বাকি রেখে জয়। ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০০ রানের লক্ষ্য তারা ৪১ বল বাকি থাকতে ছুঁয়েছিল।
ছোট লক্ষ্যে শুরু থেকে ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকে ভারত। পাওয়ার প্লেতে ৭১ রান করার পর একই ছন্দে এগোতে থাকে তারা। দলের কেউই চল্লিশ ছুঁতে পারেননি। তবে সবাই দ্রুত রান তুলেছেন।
শেষ দিকে ১৬ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন হার্দিক। ৫ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা মারেন তিনি। এছাড়া সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ ১৪ বলে ২৯ ও সাঞ্জু স্যামসন ১৯ বলে করেন ২৯ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ১৯.৫ ওভারে ১২৭ (পারভেজ ৮, লিটন ৪, শান্ত ২৭, হৃদয় ১২, মাহমুদউল্লাহ ১, জাকের ৮, মিরাজ ৩৫*, রিশাদ ১১, তাসকিন ১২, শরিফুল ০, মুস্তাফিজ ১; আর্শদিপ ৩.৪-০-১৪-৩, হার্দিক ৪-০-২৬-১, ভারুন ৪-০-৩১-১, মায়াঙ্ক ৪-১-২১-১, নিতিশ ২-০-১৭-০, সুন্দার ২-০-১২-১)
ভারত: ১১.৫ ওভারে ১৩২/৩ (স্যামসন ২৯, আভিশেক ১৬, সুরিয়াকুমার ২৯, নিতিশ ১৬*, হার্দিক ৩৯*; শরিফুল ২-০-১৭-০, তাসকিন ২.৫-০-৪৪-০, মুস্তাফিজ ৩-০-৩৬-১, রিশাদ ৩-০-২৬-০, মিরাজ ১-০-৭-১)
দশম ওভারে ভারতের একশ
পঞ্চম ওভারে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর একশ ছুঁতে আরও পাঁচ ওভারই খেলল ভারত। দশম ওভারে একশ ছুঁয়ে জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গেল তারা।
৯.৫ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০২ রান। জয় থেকে ২৬ রান দূরে তারা।
নিতিশ কুমার রেড্ডি ১৩ বলে ১৪ ও হার্দিক পান্ডিয়া ৬ বলে ১২ রানে অপরাজিত।
বোলিংয়ে এসেই মিরাজের আঘাত
অষ্টম ওভারে আক্রমণে এসেই সাফল্য পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। স্টাম্পের ওপর করা ডেলিভারি ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিলেন সাঞ্জু স্যামসন।
৬ চারে ১৯ বলে ২৯ রান করে আউট হন ভারত ওপেনার। নতুন ব্যাটসম্যান হার্দিক পান্ডিয়া প্রথম বলেই মারেন বাউন্ডারি।
৮ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৮৪ রান। জয় থেকে আর ৪৪ রান দূরে তারা।
সুরিয়াকুমারকে থামালেন মুস্তাফিজ
মুস্তাফিজুর রহমানের পায়ের ওপর করা ডেলিভারি ফ্লিক করলেন সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। কিন্তু দূরত্ব পার করতে পারলেন না তিনি। ডিপ স্কয়ার লেগে দারুণ ক্যাচ নিলেন জাকের আলি।
২ চার ও ৩ ছক্কায় মাত্র ১৪ বলে ২৯ রান করেন ভারত অধিনায়ক। নতুন ব্যাটসম্যান অভিষিক্ত নিতিশ কুমার রেড্ডি।
৫.৩ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬৫ রান।
পঞ্চম ওভারে ভারতের পঞ্চাশ
ছোট লক্ষ্যে উড়ন্ত সূচনা করল ভারত। রান আউট হয়ে আভিশেক শার্মা ফিরলেও রানের গতি কমতে দেননি সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ ও সাঞ্জু স্যামসন। মাত্র পঞ্চম ওভারেই পঞ্চাশ পূর্ণ হলো ভারতের।
৫ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৫৮ রান। ২ ওভারেই এর অর্ধেক অর্থাৎ ২৯ রান দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
স্যামসন ১১ বলে ১৮ ও সুরিয়া ১২ বলে ২৩ রানে অপরাজিত।
হৃদয়ের থ্রোয়ে আভিশেকের বিদায়
দ্বিতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদের প্রথম বল ছক্কায় ওড়ালেন আভিশেক শার্মা। পরের বলে মারলেন বাউন্ডারি। এক বল পর পেলেন আরেকটি চার।
তবে বেশি দূর যেতে পারলেন না তরুণ ওপেনার। ওভারের শেষ বলে শর্ট মিড উইকেট থেকে তাওহিদ হৃদয়ের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হলেন ৭ বলে ১৬ রান করা আভিশেক।
২ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৫ রান। নতুন ব্যাটসম্যান সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। ৫ বলে ৯ রানে অপরাজিত আরেক ওপেনার সাঞ্জু স্যামসন।
১২৭ রানে অলআউট বাংলাদেশ
আর্শদিপ সিংয়ের ইয়র্কার ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে গেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১২৭ রানে অলআউট হয়ে গেল বাংলাদেশ। ৭ নম্বরে নেমে ৩ চারে ৩২ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত রইলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এটিই দলের সর্বোচ্চ।
গোয়ালিয়রের শ্রীমান মাধাবরাও সিন্দিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। একটি জুটিও ত্রিশ ছুঁতে পারেনি। বিশ পেরিয়েছে মাত্র দুটি জুটি।
ভারতের পক্ষে ৩.৫ ওভারে মাত্র ১৪ রানে ৩ উইকেট নেন আর্শদিপ সিং। ভারুন চক্রবর্তী ৩১ রান খরচায় ধরেন ৩ শিকার। গতির ঝড় তোলা মায়াঙ্ক ইয়াদাভ অভিষেকে প্রথম ওভারই করেন মেইডেন। ৪ ওভারে ২১ রানে নেন ১ উইকেট।
বাংলাদেশের হয়ে মিরাজ ছাড়া ২০ রান করতে পারেন শুধু নাজমুল হোসেন শান্ত। ১টি করে চার-ছক্কায় ২৫ বলে ২৭ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্রথম ৬ ব্যাটসম্যান মিলে করেন মাত্র ৬০ রান। আর শেষের ৫ জনের ব্যাট থেকে আসে ৫৯ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ১৯.৫ ওভারে ১২৭ (পারভেজ ৮, লিটন ৪, শান্ত ২৭, হৃদয় ১২, মাহমুদউল্লাহ ১, জাকের ৮, মিরাজ ৩৫*, রিশাদ ১১, তাসকিন ১২, শরিফুল ০, মুস্তাফিজ ১; আর্শদিপ ৩.৪-০-১৪-৩, হার্দিক ৪-০-২৬-১, ভারুন ৪-০-৩১-১, মায়াঙ্ক ৪-১-২১-১, নিতিশ ২-০-১৭-০, সুন্দার ২-০-১২-১)
শরিফুলের স্টাম্প ওড়ালেন হার্দিক
টিকতে পারলেন না শরিফুল ইসলাম। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে বড় শটের চেষ্টায় বোল্ড হয়ে গেলেন তিনি।
১৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১১৭ রান। মেহেদী হাসান মিরাজ ২৫ বলে ৩০ রানে অপরাজিত। শেষ ব্যাটসম্যান মুস্তাফিজুর রহমান।
রান আউট তাসকিন
হার্দিক পান্ডিয়ার বল অন সাইডে খেলেই দ্রুত ছুটলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এক রান সম্পন্ন করে দ্বিতীয় রানের জন্য ডাক দেন তিনি। কিন্তু অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকেন তাসকিন আহমেদ।
শেষ পর্যন্ত মিরাজের জন্য উইকেট বিলিয়ে দেন তাসকিন ১ চারে ১৩ বলে ১২ রান করা তাসকিন।
রিশাদকেও ফেরালেন ভারুন
নিজের শেষ তিন ওভারে তিন উইকেট নিলেন ভারুন চক্রবর্তী। অফ স্টাম্পের বাইরের লেগ স্পিন ডেলিভারি ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিলেন ৫ বলে ১১ রান করা রিশাদ হোসেন।
প্রথম ওভারে ১৫ রান খরচ করা ভারুন পরের তিন ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে নিলেন ৩ উইকেট। ৩১ রানে ৩ উইকেট তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।
১৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৯৫ রান। নতুন ব্যাটসম্যান তাসকিন আহমেদ। ১৬ বলে ২০ রানে অপরাজিত মেহেদী হাসান মিরাজ।
শান্তকে ফেরালেন সুন্দার
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো চলমান বাংলাদেশের। দ্বাদশ ওভারে ড্রেসিং রুমের পথ ধরলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
ওয়াশিংটন সুন্দারের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে আউট হন ১টি করে চার-ছক্কায় ২৫ বলে ২৭ রান করা বাংলাদেশ অধিনায়ক।
১২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৭৫ রান। নতুন ব্যাটসম্যান রিশাদ হোসেন। ১০ বলে ১৩ রানে অপরাজিত মেহেদী হাসান মিরাজ।
ভারুনের দ্বিতীয় শিকার জাকের
প্রথম ওভারে ১৫ রান খরচের পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন ভারুন চক্রবর্তী। পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট নিলেন ভারতের রহস্য স্পিনার।
ভারুনের অফ স্টাম্পে পিচ করে নিখুঁত টার্ন করা ডেলিভারি বুঝতেই পারেননি জাকের আলি। ভুল লাইনে খেলে বোল্ড হন তিনি।
১ ছক্কায় ৬ বলে ৮ রান করেন জাকের। তার বিদায়ের পরপরই দেওয়া হয় পানি বিরতি।
৯.২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৫৭ রান। নতুন ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৯ বলে ২৩ রানে অপরাজিত নাজমুল হোসেন শান্ত।
নবম ওভারে বাংলাদেশের পঞ্চাশ
ব্যাটিং ব্যর্থতায় ধুঁকে ধুঁকে নবম ওভারে পঞ্চাশ পূর্ণ করল বাংলাদেশ। পঞ্চাশ হওয়ার পর নিতিশ কুমার রেড্ডির বল ছক্কায় ওড়ালেন জাকের আলি।
৯ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৫৬ রান। জাকের ৫ বলে ৮ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ১৮ বলে ২২ রানে অপরাজিত।
টিকলেন না মাহমুদউল্লাহ
দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে ছক্কার চেষ্টায় উইকেট বিলিয়ে এলেন মাহমুদউল্লাহ। মায়াঙ্ক ইয়াদাভের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি বড় শটের চেষ্টায় ডিপ পয়েন্টে ওয়াশিংটন সুন্দারের হাতে ক্যাচ দিলেন ২ বলে ১ রান করা অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেট ৪৫ রান। নতুন ব্যাটসম্যান জাকের আলি। ১৪ বলে ১৮ রানে অপরাজিত নাজমুল হোসেন শান্ত।
প্রথম দুই ওভারে এক মেইডেনসহ মাত্র ৩ রানে ১ উইকেট নিলেন অভিষিক্ত মায়াঙ্ক।
হৃদয়কে ফেরালেন ভারুন
মায়াঙ্ক ইয়াদাভের ওভার মেইডেন খেলার পর ভারুন চক্রবর্তীর বলে ছক্কা মারার চেষ্টায় লং অনে ধরা পড়লেন তাওহিদ হৃদয়। মাত্র ৪০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ।
২ চারে ১২ রান করতে ১৮ বল খেলেন হৃদয়। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ।
৭ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪২ রান। ১২ বলে ১৬ রানে অপরাজিত নাজমুল হোসেন শান্ত।
পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৩৯
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা তেমন ভালো হলো না বাংলাদেশের। দুই ওপেনারকে হারিয়ে তারা করল ৩৯ রান।
পঞ্চম ওভারে ভারুন চক্রবর্তীর বলে দুই চারের সঙ্গে এক ছক্কায় আসা ১৫ রানে কিছুটা বাড়ে রানের গতি।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মেইডেন করেন অভিষিক্ত পেসার মায়াঙ্ক ইয়াদাভ। রান করার মতো বল পেলেও ছয় বলের সবকটিই ডট খেলেন তাওহিদ হৃদয়।
অল্পের জন্য বাঁচলেন হৃদয়
আর্শিদিপ সিং ও হার্দিক পান্ডিয়ার দুই ওভার করে স্পেলের পর পঞ্চম ওভারে স্পিন আনেন সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। আক্রমণে এসে দ্বিতীয় বলেই সাফল্য পেতে পারতেন ভারুন চক্রবর্তী। অভিষিক্ত নিতিশ কুমার রেড্ডির ব্যর্থতায় উল্টো বেঁচে গেলেন তাওহিদ হৃদয়।
অফ স্টাম্পের ডেলিভারি সুইপ করেন হৃদয়। ডিপ মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ পান নিতিশ। কিন্তু বলের দূরত্ব বুঝতে না পেরে খেই হারিয়ে ফেলেন তিনি। বল চলে যায় সীমানায়। পরের বল আরেকটি চার মেরে ভারুনের হতাশা বাড়ান হৃদয়।
ওভারের শেষ বল রিভার্স সুইপ করে ছক্কায় ওড়ান নাজমুল হোসেন শান্ত।
৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৯ রান। হৃদয় ১০ বলে ১২ শান্ত ৯ বলে ১৪ রানে অপরাজিত।
পারভেজকেও ফেরালেন আর্শদিপ
পরপর দুই ওভারে বাংলাদেশের দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দিলেন আর্শদিপ সিং। লিটন কুমার দাসের পর আউট হলেন পারভেজ হোসেন।
আগের ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে দুর্দান্ত ফ্লিক শটে ছক্কা মেরে ভালো কিছুর আভাস দেন পারভেজ। কিন্তু পরের ওভারে আর্শদিপের বল স্টাম্পে টেনে আনেন তরুণ ওপেনার।
৯ বলে ৮ রান করেন পারভেজ। ক্রিজে চার নম্বর ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়।
২.৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৫ রান।
শুরুতেই ফিরলেন লিটন
প্রথম ওভারেই ভাঙল বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। বড় শটের চেষ্টায় ফিরে গেলেন লিটন কুমার দাস। আর্শদিপের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের ডেলিভারি অন সাইডে বড় শটের চেষ্টায় হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। উইকেটের কাছ থেকেই ক্যাচ নেন রিঙ্কু সিং।
আউট হওয়ার আগে মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মারেন লিটন।
তিন নম্বরে এলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৬ রান। পারভেজ হোসেন ৩ বলে ১ রানে অপরাজিত।
ভারতের চেয়ে অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ
মুখোমুখি পরিসংখ্যানে অনেক এগিয়ে ভারত। দুই দলের এখন পর্যন্ত ১৪ লড়াইয়ের ১৩টিই জিতেছে তারা। বাংলাদেশের একমাত্র জয় ২০১৯ সালের সফরে।
পাঁচ বছর আগে সবশেষ ভারত সফরের ওই টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটিই দিল্লিতে জিতেছিল বাংলাদেশ। একইসঙ্গে জাগিয়েছিল সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা। কিন্তু রাজকোটে হারার পর একটা সময় পর্যন্ত নাগপুরে দারুণ লড়াই করলেও শেষটায় পেরে ওঠেনি। সেই ম্যাচে ১৭৫ রান তাড়ায় ১৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১১০। কিন্তু শেষের নিদারুণ ব্যাটিং ব্যর্থতায় গুটিয়ে যায় দেড়শর আগেই।
ভারত একাদশে দুই পেসার
আইপিএলে গতির ঝড় তোলা মায়াঙ্ক ইয়াদাভের সঙ্গে ভারতীয় একাদশে পেসার হিসেবে আছেন আর্শদিপ সিং। এছাড়া দলের প্রয়োজনে মিডিয়াম পেস বোলিং করতে পারেন হার্দিক পান্ডিয়া।
স্পিন বিভাগে থাকছেন ওয়াশিংটন সুন্দার, ভারুন চক্রবর্তী। অনিয়মিত স্পিনার রিয়ান পারাগ ও আভিশেক শার্মাকেও বোলিংয়ে দেখা যেতে পারে।
ভারত একাদশ: সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ, আভিশেক শার্মা, সাঞ্জু স্যামসন, রিঙ্কু সিং, হার্দিক পান্ডিয়া, রিয়ান পারাগ, নিতিশ কুমার রেড্ডি, ওয়াশিংটন সুন্দার, ভারুন চক্রবর্তী, আর্শদিপ সিং, মায়াঙ্ক ইয়াদাভ।
৪ পরিবর্তনের একাদশে ফিরলেন পারভেজ
২০২২ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেকের পর গত বছরের এশিয়ান গেমসে দুটি ম্যাচ খেলেন পারভেজ হোসেন। তবে ওই গেমসে কোনো দেশই তাদের মূল দল পাঠায়নি।
তাই প্রায় দুই বছর পর আবার টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন তরুণ বাঁহাতি ওপেনার। অভিজ্ঞ স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের ফেরা প্রায় ১৫ মাস পর। গত বছরের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেন তিনি।
এছাড়া একাদশে ফেরানো হলো জাকের আলি ও শরিফুল ইসলামকে।
গত জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানদের বিপক্ষে খেলা সবশেষ ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ পড়লেন সাকিব আল হাসান, তানজিম হাসান, তানজিদ হাসান ও সৌম্য সরকার। অবসর নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই নেই সাকিব। সৌম্য নেই স্কােয়াডেই।
শরিফুল ছাড়াও পেস বিভাগে আছেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। মিরাজের সঙ্গে স্পিন সামলাবেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন কুমার দাস, পারভেজ হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলি, তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কয়েনভাগ্য পাশে পেলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন ভারত অধিনায়ক সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ।
শান্ত বলেছেন, টস জিতলে তিনিও আগে ফিল্ডিং নিতেন। তবে আগে ব্যাটিং পাওয়ায় আপাতত ব্যাটসম্যানদের দিকে তাকিয়ে তিনি।
মায়াঙ্ক-নিতিশের অভিষেক
টসের আগে নিশ্চিত হয়ে গেল দুই জনের একাদশে থাকা। অভিষেক ক্যাপ পেলেন মায়াঙ্ক ইয়াদাভ ও নিতিশ কুমার রেড্ডি। শুধু টি-টোয়েন্টি নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই এটি তাদের প্রথম ম্যাচ।
মায়াঙ্ককে ক্যাপ তুলে দেন ভারতের সাবেক স্পিনার মুরালি কার্তিক ও নিতিশকে তার ক্যাপ দেন সাবেক উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান পার্থিব প্যাটেল।
টি-টোয়েন্টিতে নতুন অ্যাপ্রোচের অভিযানে বাংলাদেশ
টেস্টে হোয়াইটওয়াশড হওয়ার পর ভারতের বিপক্ষে এবার টি-টোয়েন্টির লড়াইয়ে বাংলাদেশ দল। গোয়ালিয়রের শ্রীমান মাধাবরাও সিন্দিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু প্রথম ম্যাচ।
২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য এই সিরিজ থেকেই নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার কাজ নিতে চায় বাংলাদেশ। সিরিজ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, আগের চেয়ে ভিন্ন এপ্রোচে এবার দেখা যাবে বাংলাদেশ দলকে।
ভারত সফরে টেস্ট চলাকালে সাকিব আল হাসান টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ায় দলের সমন্বয়ে ভিন্নতা অনিবার্য। স্পিন অলরাউন্ডার হিসেবে তার জায়গায় ভাবা হচ্ছে মেহেদী হাসান মিরাজের কথা।
এছাড়া দলে পরিবর্তন অবশ্য তেমন নেই। বিশ্বকাপে হতাশ করলেও জায়গা ধরে রেখেছেন মাহমুদউল্লাহ। দুই বছর পরের বিশ্বকাপে তাকে নিয়েই পরিকল্পনা করছে কিনা দল, সে ব্যাপারে অবশ্য কিছু বলা হয়নি।
পেস বিভাগে দুই বাঁহাতি মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলামের সঙ্গে আছেন তাসকিন আহমেদ ও তানজিদ হাসান। স্পিন বিভাগে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন, বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান, অফ স্পিনার শেখ মেহেদি হাসানকে নিয়ে ভারসাম্যপূর্ণই বলা যায়।