বাংলাদেশ ক্রিকেট
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত সব পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন তামিম ইকবাল, সেখান থেকে বেছে নেওয়া হলো ১৫টি।
Published : 11 Jan 2025, 08:05 PM
প্রায় দেড় যুগের ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের ওপেনিং কিংবা ব্যাটিংয়েরই অপর নাম হয়ে গেছেন তামিম ইকবাল। দীর্ঘ পথচলায় তিন সংস্করণেই অনেক ম্যাচ জেতানো ইনিংস ও পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার।
মনি-মুক্তা খচিত ক্যারিয়ার থেকে কিছু বাছাই করা কঠিন। তার দেশের সব সময়ের সফল ব্যাটসম্যানদের একজনের বিদায়বেলায় তবু বেছে নেওয়া হলো তার ক্যারিয়ারের ১৫টি রত্ন।
দুর্দমনীয় সাহসিকতায় আগমনী বার্তা
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের বয়স তখন মোটে এক মাস। মাত্র চার ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে নামেন তামিম। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই অভিজ্ঞ বাঁহাতি পেসার জহির খানের বল ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে পাঠালেন কুইন'স পার্ক ওভালের গ্যালারির দোতলায়। যা এখনও দেশের ক্রিকেটের 'আইকনিক' মুহূর্তগুলোর একটি।
১৯২ রানের লক্ষ্যে সেদিন তামিমের ফিফটি গড়ে দেয় জয়ের ভিত, সাহস জোগায় ড্রেসিং রুমে। পরে মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের ফিফটিতে বাংলাদেশ পায় নিজেদের ইতিহাসের স্মরণীয়তম জয়গুলির একটি।
৫৩ বলে ৫১ রান করেছিলেন তামিম। তবে এই সংখ্যাগুলো কিছু নয়, এমন কিছু শট সেদিন তিনি খেলেছিলেন, ক্রিকেট বিশ্ব বার্তাটা পেয়ে গিয়েছিল- বিশেষ একজন এসে গেছে।
ক্যারিবিয়ানে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি
২০০৮ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে ৫৩ ও ৮৪ রানের ইনিংস খেলে সাদা পোশাকে নিজের সামর্থ্যের জানান দেন তামিম। তবে পরের ১৭ ইনিংসে আর ফিফটি পাননি। সেই খরা ঘোচান সেঞ্চুরিতে। ২০০৯ সালে ক্যারিবিয়ান সফরে গিয়ে খেলেন ম্যাচ জেতানো শতরানের ইনিংস।
৬৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে সব চাপ সরিয়ে দেন তরুণ ওপেনার। ১৭ চারে সেদিন তিনি খেলেন ১২৮ রানের ইনিংস। ওই সেঞ্চুরির সৌজন্যে আড়াইশ ছাড়ানো লিড পায় বাংলাদেশ। পরে দেশের বাইরে প্রথম টেস্ট জয়ে তামিমই পান ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
তিনশ ছাড়ানো রান তাড়ায় ১৫৪
২০০৯ সালের জিম্বাবুয়ে সফর সেটি। সাঈদ আনোয়ারের বিশ্বরেকর্ড স্পর্শ করে চার্লস কভেন্ট্রি খেললেন ১৯৪ রানের ইনিংস। স্বাগতিকরা পেল ৩১২ রানের সংগ্রহ। তখনও পর্যন্ত ওয়ানডেতে রান তাড়ায় তিনশ করার নজির ছিল না বাংলাদেশের। সব মিলিয়ে তিনশছোঁয়া ইনিংস ছিল মোটে তিনটি।
অসাধ্য সাধনের সাহসটা সেদিন তামিমই দেখান। ৬১ বলে ফিফটি ছুঁয়ে সেঞ্চুরিতে যেতে খেলেন আর ৪৪ বল। শেষের ৩৩ বল থেকে তিনি নেন ৫৪ রান। ১৩৮ বলে তিনি খেলেন ১৫৪ রানের ইনিংস।
দলের আর কেউ ৪০ রানও করতে পারেননি। তবু তামিমের সৌজন্যে জিতে যায় বাংলাদেশ।
ওয়ানডেতে সেটিই ছিল বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যনের প্রথম দেড়শছোঁয়া ইনিংস। ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড হিসেবে টিকে ছিল সেটি। পরে একই দলের বিপক্ষে ১৫৮ রান করে তামিমই ভাঙেন রেকর্ড। এক ম্যাচ পর ১৭৬ রান করে রেকর্ডটি নিজের করেন লিটন কুমার দাস।
লর্ডসে ঐতিহাসিক সেঞ্চুরি, ওল্ড ট্র্যাফোর্ডেও শতক
তামিমের ক্যারিয়ারের, বাংলাদেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে ‘আইকনিক’ মুহূর্তগুলোর একটির জন্ম হয়েছিল লর্ডসে। টিম ব্রেসনানের বলে চার মেরেই লাফিয়ে যেন আকাশ ছুঁয়ে ফেলেন তিনি। এরপর ছুটে গিয়ে ইশারা করেন স্টেডিয়ামের অ্যাটেন্ড্যান্টের দিকে, দুই হাত উঁচিয়ে ইশারা করেন, “অনার্স বোর্ডে লিখে নাও আমার নাম…।”
ঐতিহ্যবাহী লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সেটিই ছিল বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ও এখনও পর্যন্ত একমাত্র সেঞ্চুরি। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে সেদিন মাত্র ৯৪ বলে শতরানের ঠিকানায় পৌঁছান তামিম। এখনও টেস্টে বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরি সেটি।
তার চ্যালেঞ্জের বাকি ছিল তখনও। ওই বছরের শুরুতে যখন বাংলাদেশে এসেছিল ইংল্যান্ড দল, চট্টগ্রামে তামিমকে আগ্রাসী ব্যাট করতে দেখে ইংলিশ ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেন বলেছিলেন, ‘পারলে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সেঞ্চুরি করে দেখাও, দেখি পারো কি না…।”
উইকেট ও কন্ডিশন সেখানে আরও কঠিন। কিন্তু তামিম জেতেন সেই চ্যালেঞ্জও। পাল্টা জবাব দিয়ে এবার খেলেন ১১৪ বলে ১০৮ রানের ইনিংস।
সেটি ছিল টেস্টে তামিমের টানা পঞ্চম পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের আর কেউ টেস্টে টানা পাঁচ ইনিংসে ফিফটি করতে পারেননি।
স্বপ্নময় এশিয়া কাপ
২০১২ এশিয়া কাপের আগে তামিম ইকবালের দলে থাকা নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। নির্বাচকদের ঠিক করা দলে তামিম তাকলেও তাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সেই সময়ের বিসিবি সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল। নির্বাচকের কাজে হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত নিয়ে নেন তখনকার প্রধান নির্বাচক আকরাম খান। তুমুল বিতর্কের পর শেষ পর্যন্ত টিকে যান তামিম আর উপহার দেন অসাধারণ এক টুর্নামেন্ট।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬৪ রানে দিয়ে শুরু। ফাইনালে একই দলের বিপক্ষে খেলেন ৬০ রানের ইনিংস। মাঝে ভারত ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার ব্যাট থেকে আসে ৭০ ও ৫৯ রান। টানা চার ম্যাচে ফিফটি ছুঁয়ে গ্যালারির দিকে (কিংবা প্রেসিডেন্ট বক্সের দিকে) আঙুল উঁচিয়ে তিনি ইশারায় দেখান এক, দুই, তিন, চার….।”
সেই উদযাপন, সেই ছবি এখনও তামিমের ক্যারিয়ারের প্রতীকী দৃশ্যগুলোর একটি।
পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ফিফটি করে ওয়ানডেতে টানা পাঁচ ফিফটি করা দেশের ব্যাটসম্যান হয়ে যান তামিম। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে তার সঙ্গী হন সাকিব আল হাসান।
বিশ্বকাপে তিনশ তাড়ায় ৯৫
ওয়ানডে বিশ্বকাপে তামিমের সামগ্রিক পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো নয়। তবে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ এক জয়ে তার ইনিংস রেখেছিল বড় ভূমিকা।
নেলসনে ২০১৫ বিশ্বকাপে কাইল কোয়েটজির দেড়শ রানের ইনিংসে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩১৮ রান করে ফেলে স্কটল্যান্ড। বিশ্বকাপের তিনশর বেশি রান তাড়ায় তখনও জয়ের স্বাদ ছিল না বাংলাদেশের।
কঠিন চ্যালেঞ্জে আরও একবার জ্বলে ওঠে তামিমের ব্যাট। শুরু থেকেই দাপুটে ব্যাট করে দলকে দুইশ পার করিয়ে আউট হন ৩২তম ওভারে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হতে পারেননি মাত্র ৫ রানের জন্য। তবে তিনিই ছিলেন জয়ের মূল কারিগর।
পাকিস্তানের বিপক্ষে দাপুটে সিরিজ
২০১৫ বিশ্বকাপে দল ভালো করলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের কারণে তামিম ছিল সমালোচনার কেন্দ্রে। পাল্টা জবাব দিয়ে এরপরই ক্যারিয়ারে সেরা সিরিজটি কাটান তিনি। দারুণভাবে জ্বলে ওঠেন পাকিস্তানের বিপক্ষে।
প্রথম ম্যাচেই তিনি খেলেন ১৩২ রানের ইনিংস। সেঞ্চুরি ছুঁয়ে উদযাপন করেন দুই হাত দিয়ে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার ভঙ্গি করে।
পরের ম্যাচে ১১৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন দলকে জিতিয়ে। পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের তেতো স্বাদ দেওয়া শেষ ম্যাচেও তার ব্যাট থেকে আসে ৬৪ রান। সব মিলিয়ে ৩১২ রান করে তিনি জেতেন সিরিজ সেরার পুরস্কার।
বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি, অনন্য তামিম
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই তিন অঙ্কের জাদুকরী ছোঁয়া পাওয়া বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটসম্যান তামিম। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে ১০৩ রানের ইনিংস খেলে অনন্য কীর্তিটি গড়েন তিনি।
ওই টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচেও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৫৮ বলে ৮৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন তামিম। গ্রুপ পর্বে যদিও আইসিসি সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে খেলতে হয়েছে, তবে ধারামশালার হীমশীতল আবহাওয়া, সিমিং উইকেটে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ ছিল কঠিন।
গ্রুপ পর্বের পর আর ভালো করতে পারেননি তিনি। তবে ৬ ইনিংসে একটি করে ফিফটি ও সেঞ্চুরিতে ২৯৫ রান করে তামিম ছিলেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
বর্ণিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
বৈশ্বিক ওয়ানডে টুর্নামেন্টে ভালো করতে না পারার দুর্নাম ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কিছুটা ঘোচান তামিম। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই তিনি খেলেন ১২৮ রানের ইনিংস। পরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ৫ রানের জন্য করতে পারেননি আরেকটি সেঞ্চুরি।
এক ম্যাচ পর ভারতের বিপক্ষে তার ব্যাট থেকে আসে ৭০ রান। চার ইনিংসে দুই ফিফটি ও এক সেঞ্চুরিতে ২৯৩ রান করে টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তামিম।
ক্যারিবিয়ানে রানের উৎসব
পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১৫ সালের সিরিজের পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেন তামিম। ক্যারিবিয়ান সফরের প্রথম ম্যাচে তিনি খেলেন ১৩০ রানের অপরাজিত ইনিংস। পরের ম্যাচে তিনি থামেন ৫৪ রানে।
সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে আবার শতক উপহার দেন অভিজ্ঞ ওপেনার। যার সৌজন্যে পান ম্যাচ ও সিরিজ সেরার স্বীকৃতি। তিন ম্যাচে তামিমের ২৮৭ রান দেশের বাইরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সর্বোচ্চ।
জাহির-হারভাজানদের পিটিয়ে দাপুটে ১৫১
২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতায় ৩১১ রানে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে পাল্টা আক্রমণের গল্প লেখেন তামিম। জাহির খান, ইশান্ত শার্মাদের পেস কিংবা হারভাজান সিং, প্রাজ্ঞান ওঝাদের স্পিন সেদিন অসহায় হয়ে পড়ে ২০ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের সামনে।
জুনায়েদ সিদ্দিকির সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ২০০ রানের জুটি গড়েছিলেন তামিম। জুনায়েদের অবদান ছিল মাত্র ৫৫ রান।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৪৯ বলে ফিফটি করেন তামিম। তিন অঙ্ক ছুঁতে খেলেন আর ৫২ বল। এরপর আরও পথ এগিয়ে ১৫১ রানে থামেন তিনি। ১৮৩ বলের ইনিংসে ১৮ চারের সঙ্গে মারেন ৩টি ছক্কা।
চাপ সামলে ডাবল সেঞ্চুরি
ইয়াসির শাহর পরপর দুই বলে ছক্কা মেরে ১৮২ থেকে তামিম পৌঁছে যান ১৯৪ রানে। পরের ওভারে জুনাইদ খানের বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারা ছক্কায় পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি।
অথচ ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওই খুলনা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে প্রবল চাপে ছিল বাংলাদেশ। ২৯৬ রানে পিছিয়ে পড়ে চোখরাঙানি দিচ্ছিল বড় পরাজয়ের শঙ্কা। তামিম ভাবলেন ভিন্ন কিছু। ইমরুল কায়েসকে নিয়ে গড়লেন দলের দ্বিতীয় ইনিংসে বিশ্ব রেকর্ড ৩১২ রানের উদ্বোধনী জুটি।
১৭ চার ও ৭ ছক্কায় ২৭৮ বলে ২০৬ রানের ইনিংস খেলেন তামিম। এখন পর্যন্ত দেশের হয়ে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড এটি।
ইংল্যান্ডকে হারানোর ম্যাচে সেঞ্চুরি
পরের বছর মিরপুর টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় জয় পায় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ের জন্য রীতিমতো বধ্যভূমির ন্যায় উইকেটে প্রথম ইনিংসে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন তামিম। পুরো ম্যাচে সেটিই ছিল আশি ছাড়ানো একমাত্র ইনিংস।
পরের ইনিংসে আরও চ্যালেঞ্জিং উইকেটে তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৪০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। ম্যাচে মোট ১৪৪ রান করে ইংলিশদের হারাতে বড় অবদান রাখেন তিনি।
শততম টেস্টে রান তাড়ায় দুর্দান্ত ইনিংস
কলম্বোয় ২০১৭ সালে নিজেদের শততম টেস্টটি দারুণ জয়ে রাঙায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১ রানের জন্য ফিফটি ছুঁতে ব্যর্থ হন তামিম। তবে ম্যাচের পঞ্চম দিনে ১৯১ রানের বেশ চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে ইতিবাচক ব্যাটিং করে ভিতটা গড়ে দেন তিনিই।
রাঙ্গানা হেরাথ, দিলরুয়ান পেরেরাদের স্পিন পরীক্ষা দারুণভাবে সামলে ১৩৭ বলে খেলেন ৮২ রানের ইনিংস। পরে বাংলাদেশের ৪ উইকেটের জয়ে তামিমের হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর ম্যাচে জোড়া ফিফটি
একই বছর মিরপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক এক জয় পায় বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যের ম্যাচটিতে দুই ইনিংসেই সত্তরছোঁয়া ইনিংস খেলেন তামিম।
প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলকে উদ্ধার করেন তামিম ও সাকিব। দুজন মিলে গড়েন ১৫৫ রানের জুটি। ৭১ রান করে আউট হন তামিম।
পরেরবার একপ্রান্তে নির্ভরতার প্রতীক হয়ে ১৫৫ বলে তিনি খেলেন ৭৮ রানের ইনিংস। দলের আর কেউ ওই ইনিংসে ৪১ রানের বেশি করতে পারেনি।