টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেরা আটে জায়গা করে নেওয়ার পর অন্য দলগুলোর জন্য একরকম সতর্কবার্তাই দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সহ-অধিনায়ক অ্যারন জোন্স।
Published : 15 Jun 2024, 02:45 PM
কানাডা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়। ভারতের সঙ্গে লড়াই করে শেষ দিকে হার। আর গ্রুপের শেষ ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর সুপার এইটের টিকেট পেয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে নেমে এমন সাফল্যের পর এবার সামনেও যে কোনো দলকে হারানোর সামর্থ্যের কথা বলেছেন দলটির সহ-অধিনায়ক অ্যারন জোন্স।
প্রথম তিন ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পাওয়ায় শেষটিতে পরাজয় এড়ালেই কাজ হয়ে যেত যুক্তরাষ্ট্রর। তাদের কিছুই করতে হয়নি। টানা বৃষ্টি ও পরে ভেজা আউটফিল্ডের কারণে শুক্রবার রাতে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচে টসই করা যায়নি। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলে নিশ্চিত হয়ে যায় স্বাগতিকদের সুপার এইটের টিকেট।
কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হলেও ম্যাচ খেলতে না পারার আফসোস আছে জোন্সের। ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, মাঠের লড়াইয়ে নামার জন্যই হোটেল থেকে বের হয়েছিলেন তারা।
“একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমি বা দলের অন্যরা আজকে মাঠে আসার পর মনে হয় না, কেউ ক্রিকেট না খেলে বাড়ি ফেরা পছন্দ করবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি খেলতে চাই। কিন্তু বৃষ্টি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। সুপার এইটে যেতে পারায় আমরা কৃতজ্ঞ। তবে আমরা ক্রিকেট খেলার কথা চিন্তা করেই হোটেল থেকে বের হয়েছিলাম। আমরা ক্রিকেট খেলতে চেয়েছিলাম।”
“অবশ্যই আমরা উদযাপন করছি। সবাই এখন খুশি। সুপার এইটে কোয়ালিফাই করা অবশ্যই অনেক বড় বিষয়। তাই এখন সবাই আনন্দিত।”
বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারানোর পরই জোন্স বলেছিলেন, যে কোনো দলকে হারানোর সামর্থ্য রাখেন তারা। সুপার এইটে ওঠার পর আরও একবার সেই কথা মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
“এ বছর আমি এর আগেও এই কথা বলেছি। সত্যি বলতে, আপনাদের অনেকে (সংবাদমাধ্যম) যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটকে তেমন পাত্তা দিতে চায় না। তাই বিশ্ব জানে না, আমাদের এখানে কেমন প্রতিভা আছে এবং ক্রিকেটাররা কত ভালো। এটি হয়তো আমাদের জন্য কিছুটা সুবিধার হবে। তবে যে কোনো নির্দিষ্ট দিনে আমরা যখন যথাযথ ক্রিকেট খেলব, নিশ্চিতভাবেই বিশ্বের যে কোনো দলকে হারাতে পারব।”
সুপার এইটে যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রতিপক্ষ ঠিক হয়ে গেছে- ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় প্রতিপক্ষ হবে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের মধ্যে যে কোনো এক দল। সেরা আটে ওঠায় অন্তত দেড় লাখ ডলার অর্থ পুরস্কার পাবে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে ২০২৬ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় হতে যাওয়া বিশ্বকাপেও সরাসরি সুযোগ পাবে তারা।
এই সাফল্য দেশের মানুষকে ক্রিকেটের প্রতি আরও আকৃষ্ট করবে বলে বিশ্বাস জোন্সের।
“সত্যি বলতে আমাদের জন্য অনেক বড় ব্যাপার। গত কয়েক বছর আমরা বিশ্বকাপ খেলা, আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর বিপক্ষে খেলার ব্যাপারে আলোচনা করেছি। আমরা এখন সেটিই করছি। সুপার এইটে কোয়ালিফাই করা অবশ্যই অনেক ভালো।”
“শুধু আমাদের জন্যই নয়... আমরা সম্ভবত ২০২৬ বিশ্বকাপেও জায়গা করে নেব। তো এটি আমাদের জন্য অনেক বড় ব্যাপার। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সকল সমর্থকের জন্যও অনেক বড় বিষয়। আমরা তাদের স্বাগত জানাই। সমর্থক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ প্রজন্মের জন্যও এটি অনেক বড় ব্যাপার।”