ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের পরিসংখ্যান টেনে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক কিছু জায়গায় ভারতীয় ব্যাটিং গ্রেটের চেয়েও এগিয়ে রাখছেন হ্যারি ব্রুককে।
Published : 11 Jan 2025, 09:51 PM
ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন সাচিন টেন্ডুলকারের সঙ্গে তুলনা যেকোনো ক্রিকেটারের জন্য বিশাল পাওয়া। সেখানে ইংলিশ ব্যাটসম্যান হ্যারি ব্রুককে তো কিছু জায়গায় ভারতীয় গ্রেটের চেয়েও এগিয়ে রাখছেন গ্রেগ চ্যাপেল। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের পরিসংখ্যান টেনে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, টেন্ডুলকারের চেয়ে বেশি প্রভাববিস্তারি ব্যাটিং করছে ব্রুক।
২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ভারতের কোচের দায়িত্ব পালন করেন চ্যাপেল। তাই টেন্ডুলকারকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে তারা। যদিও তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ বছরের বেশি কাটিয়ে ফেলেছিলেন টেন্ডুলকার। ততদিনে বিশ্ব ক্রিকেটে তারকা বনে চলে গিয়েছিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান।
তবে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের টেন্ডুলকারের চেয়ে ব্রুককে এগিয়ে রাখছেন ৮৭ টেস্ট ও ৭৪ ওয়ানডে খেলা চ্যাপেল। সিডনি হেরাল্ডের সঙ্গে আলাপকাপে তিনি বলেন, অল্প সময়েই ক্রিকেট বিশ্বের আলোচিত একজন হয়ে উঠেছেন ব্রুক।
“হ্যারি ব্রুক, ব্যাটিং সেনসেশন, যার পারফরম্যান্স এবং দৃষ্টিভঙ্গিকে আমি গ্রেট সাচিন টেন্ডুলকারের সঙ্গে তুলনা করি। ব্রুকের ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের পরিসংখ্যান বলছে, একই পর্যায়ে প্রভাবের দিক থেকে সে সম্ভবত ভারতীয় তারকাকেও ছাড়িয়ে গেছে।”
“২৫ বছর বয়সেই খুব দ্রুত বিশ্বের আলোচিত ক্রিকেটারদের একজন হয়েছে উঠেছে। সহজ ও প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার কার্যকর ব্যাটিংয়ে সে আলো ছড়াচ্ছে। অনেকটা শুরুর দিকের টেন্ডুলকারের মতো, বল ছাড়ার আগে সে ক্রিজে অতিরিক্ত নড়াচড়া করে না।”
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওভালে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে টেস্ট অভিষেক হয় ব্রুকের। দুই বছরের একটু বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে ২৪ টেস্ট খেলেছেন তিনি। দারুণ ধারাবাহিকতায় ৫৮.৪৮ গড়ে রান করেছেন ২ হাজার ২৮১। নামের পাশে সেঞ্চুরি ৮টি ও ফিফটি ১০টি।
গত ডিসেম্বরে টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ওঠেন ব্রুক। এখন আছেন দ্বিতীয় স্থানে।
টেন্ডুলকার ও ব্রুকের তুলনায় দুইজনের প্রথম ১৫ টেস্টের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন চ্যাপেল। তার মতে, এই ব্যাটসম্যানকে ঘিরেই ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবা উচিত ইংল্যান্ডের।
“তাদের প্রথম ১৫ টেস্টের তুলনা করলে অবাক করার মতো তথ্য পাওয়া যায়। ওই সময়ে টেন্ডুলকার ৪০ এর নিচে গড়ে ৮৩৭ রান করেছিল, যার মধ্যে সেঞ্চুরি ছিল দুটি। অন্যদিকে, ব্রুক প্রায় ৬০ গড়ে ৫টি সেঞ্চুরিসহ ১ হাজার ৩৭৮ রান করেছে। সত্যি কথা বলতে, সাচিন তখনও কিশোর ছিল আর ব্রুকের বয়স ২৫।”
“ধারাবাহিকতার সঙ্গে আগ্রাসনের সংমিশ্রণে ব্রুকের সামর্থ্য তাকে বোলারদের জন্য দুঃস্বপ্ন করে তুলেছে, কারণ টেন্ডুলকারের মতো তাকে দমিয়ে রাখা অবিশ্বাস্যরকম কঠিন। ইংল্যান্ডের জন্য সে কেবল একজন উজ্জ্বল সম্ভাবনাই নয়; সে এমন একজন ক্রিকেটার যাকে ঘিরেই তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে উঠতে পারে।”
টেন্ডুলকার অবশ্য নিজেকে সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ক্যারিয়ার শেষ করেছেন। ২০০ টেস্ট খেলে ১৫ হাজার ৯২১ রান করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার মোট সেঞ্চুরি ১০০টি।